হে সাথী, সমতরীর যাত্রী আমরা সকলেই!
আর সেই সুত্রে সমব্যথীও তো হতেই হবে,
তোমার জন্যে তরী যখন এসেছিল কূলে,
পারের ঢেউয়ে বেশকিছুটা টালমাটাল ছিলে,
বহু ঘাতপ্রতিঘাতের সীমানা পার হওয়ায়,
জীবনে তোমার সঞ্চয়ে ছিলো অসীম অভিজ্ঞতা,
তাই, শক্ত হাতেই ধরেছিলে হাল।
রক্তিম দিগন্তে হলো ভাস্করের নতুন উদয়,
সেসব দৃশ্য এখনো অতীতের আলোয় উজ্জ্বল।


তোমার বন্ধু কি শুধু আমরাই ছিলাম?
এটা বললে অনেক কথাই না বলা থে‌কে যাবে;
বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে যে তরনি চলে-
স্বভাবতই লক্ষ্য তার থাকে সাগর পাড়ির।
ভীড় বাড়ে - আপনার পরিবর্তনের সাথে সাথেই,
বেড়ে ওঠে যাত্রীর পরিধি।
আর সেইসব যাত্রীদের সাথেও কিন্তু
ছিলো তোমার অবাধ যাতায়াত,
পরিপক্ক হাতেই সামলে চলতে সীমারেখা।


এভাবেই বেশ চলছিল এতকাল,
এবার পথেই উঠলো নতুন করে ঝড়,
একাধিক রাষ্ট্র অতিমারীর কবলে আক্রান্ত!
আমাদের উপরেও নামলো কালোছায়া,
সেই অবস্থাতেও বেশ সাবলীলভাবেই-
চলছিলো তোমার আলাপন যাত্রীদের সাথে।
এ ব্যাপারে অবশ্য কুর্নিশ জানাবোই তাদের,
যারা পর্দার আড়ালে থেকেও কাজ করে গেছে।
এখন তবু কিছুটা অবস্থার উন্নতি ঘটেছে।


হঠাৎই এমনি সময়ে ঈশানকোণে মেঘ,
এতোদিন যে বন্ধু ছিলো সবসময় পাশে;
নতুন কোনো কাণ্ডারি এসে লাঘব করবে তার ভার।
পৃথিবীর অমোঘ নিয়মে একদিন না একদিন,
নতুন প্রজন্মকে ছেড়ে দিতেই হবে স্থান,
এরপর বন্ধু আবার নতুন ভাবেই -
করবে তার নতুন যাত্রাপথ নিরুপণ,
আজও একভাবেই বলবো সেই  এককথাই-
হে বন্ধু! তোমাকে আমরা আজও ভুলি নাই।


     * আমার এক বন্ধুর অবসর জীবন
        শুরুর উদ্দেশ্যে লেখা।