শুনো শুনো মহাশয়,শুনো দিয়া মন,
শৃগাল পণ্ডিতে কহে অমৃত বচন।
একদা এক শেয়াল নীলেতে পড়িল,
ধোপার ঘরে সেই নীল গামলা ছিল।
ধোপার আরং ধোলাই কপালে জুটিল,
মনোকষ্টে শেয়ালটি  চম্পট দিল।
ভাবিতে লাগিল,নব জীবনের কথা,
অকস্মাৎ মনে তার জাগিল বারতা।
আজি হতে নীলরাজ জানিবে সক্কলে,
শেয়াল বুঝিলো সবটা তারই দখলে।


বেশ,বেশ,বেশ, আহা! চলুক না রেশ।


কিন্তু যারা বোঝে কিছু বিপরীতে সহি,
শিয়াল করে রাজত্ব  নীরবেতে রহি।
চলি গেল  এই ভাবে দিন বহুদিন,
ষড়যন্ত্রে রাজা ধরা পড়ে একদিন।
দলবদ্ধ বুঝদারে হুক্কা হুয়া ডাকে,
রাজাও হুক্কা হুয়া ডাক তার  রাখে।
নির্বোধ রাজা তার মুখোশ খুলে দিল,
রাজবেশ গেল বৃথা,  শেয়াল বনিল।
সকলে বিদায় করে, দিয়া দমাদ্দম,
রাজা নীল নহে ! সে শেয়াল একদম।


ফাঁদে ধরা দিল,আহা! ফাঁদে অবশেষ।


এতেক বলি পণ্ডিতের নাকে নস্যি যায়,
বলতো বাপুরা এবে বুঝিলে কি হায়!


এটুকু বলুন, আহা! শেষটা জোড়ালো।


বর্ণে মানুষ চেনা কাজের কাজ নয়,
কর্মেই মেলে তার আসল পরিচয়।


কি বচন শুনালে,বাঃ! পরাণ জুড়ালো।