পাঠ


রাত্তিরবেলা শুতে গেলেই পড়তো খোকন বই,
প্রথম প্রথম ভাবতো সবাই নেশাটা মানানসই।


কিন্তু যখন রূপকথাতে রাজারানীর ভীড়,
স্বপ্নে এসে আঘাত হানে,
ভয় পায় দানোদত্তি পানে,
পড়ার নেশা বকুনি খেয়ে বিলকুল চৌচির।


'বুড়ো আংলা' পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছিলো রাতে,
কী হলো সেটা শোন এবার 'রবিবার' কবিতাতে।


পঞ্চম কবিতা


রবিবার


রবিবার এলে সকাল না হতে
আঁকছি মনেতে ছবি,
কোথায় বা যাব কোথায় না যাব
হাজারো কথাই ভাবি।


আজো রবিবার থাকতে আঁধার
গেলাম যে ময়দানে,
খেলার বল তো নাগালেই আছে
মন সবুজের টানে।


সাতগোলে হেরে ফিরলাম বাড়ি
মুখটি বেজায় কালো,
ঘরে না ঢুকতে বললেন বাবা
"খোকন জ্বালাতো আলো"।


দেখ না দাদার বইয়ে গ্রামার
রয়েছে সহজ ভাবে,
চেষ্টা করলে বুঝতে পারবি
কোথায় 'এ / এ্যান' হবে।


ধ্যাত্তেরি! একে হারের দুঃখে
মনটা রয়েছে ভার,
এখন কি আর ঢুকবে মাথায়
ইংরেজির গ্রামার?


মনটা কেমন বিগড়েই গেল
সক্কাল বেলা আজ,
সান্ত্বনা শুধু সার্কাসে যাবো
বিকেলে বন্ধ কাজ।


এমনি সময় বেরসিক মাও
ফাটালেন তার গলা,
"উঠে পড় খোকা! স্কুলে যাবি না!!
দেব না কী কানমলা???"


ভয়ে তাড়াতাড়ি বিছানাটা ছাড়ি
মনে মনে রেগে যাই,
'সোমবার বড় শিগগির আসে
ভালও লাগে না ছাই'।


(চলবে)