সে আজ নীরবে ওপারেতে যাবে
মুখেতে চিন্তা নেই আর,
শেষের নাটক পায়নি চটক
মন ঘুরে মরে চারিধার।
কত না রজনী কাটায়ে ধরনী
ছেড়েছে আজকে মায়াডোর,
কত না কর্মে আপন ধর্মে
ভেঙেছে নিত্য ঘুমঘোর।
আমরা এসেছি আমরা বসেছি
রয়েছি বাঁধনে জড়িয়ে,
তবু সে ফেরে না তাঁর আনাগোনা
আসে না দুহাত বাড়িয়ে।
কবে কোনদিন এ কবি নবীন
এলো ধরনীতে জানি না,
শুধু জানি সে যে নিজ বুক মাঝে
নিলো এ কবির ভাবনা।
আজ শিয়রেতে বসে একসাথে
হচ্ছে না তাঁর কত কথা,
সে কেমন ছিলো কে কি পেয়েছিল
হিসেবের যত ছেঁড়া পাতা।
আমি চুপচাপ মনে নেই তাপ
অঙ্কের বোঝা নেই বুকে,
যে যাবেই তাঁরে পিছু ডাকিবারে
ভাষা নেই আর এই মুখে।
লেখা লিখে যাই স্বান্তনা পাই
দেখে যাই মুখ একটানা,
মনে পড়ে যায় কত না বাঁধায়
সে ছিলো আমার কত জানা।
তবুও বাঁধন করি খণ্ডন
যাবেই সে চলে নবপথে,
চাপা থাক ব্যথা মুখ থাক সাদা
কেন কাদা রবে যাত্রাতে।
২৪/৮/১৯৭৮
আগরপাড়া বাসভবন
***********************************
আমার পিতার শেষ যাত্রার প্রাক্কালে
এই রচনা। নিতান্তই অপরিপক্ক হাতে
লেখাটি ইচ্ছে করেই অপরিবর্তিত
রাখা হয়েছে।
জন্ম : ১০/১২/১৯০৯
মৃত্যু : ২৫/০৮/১৯৭৮