চলো যাই, দুই জোড়া চোখ যায় যেই থানে। আকাশের তলে তলে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে যে-সকল গাঁওগেরাম আছে সারি সারি; নদীর দুইখান তীরে দরজা জানালাখোলা শান্তি ছড়ায়ে আছে যে-সকল ঘরবাড়ি-- সেই থানে এই বেলা চুপ করে চক্ষুজুড়ে নিদ মেরে থাকি।
খিল আঁটা কপাটে কপট জীবন নিয়ে কেমুন বেদনাবিষ সয়ে সয়ে গুটিসুটি পড়ে আছি; এই থানে বুকের ভিতর অশুচি বাসনা খচখচ করে বাজে। এই দেহে বিশাল বিপুল আত্মাখানি আছাড়ি পিছাড়ি করে-- ধোঁয়াপান সুখ দিয়ে তারে আর কতো রাত ঝিমঘুম পাড়াব বলো। দেহের তালা খুলে সে যদি বাহির হয়ে যায় আমার চ্যাতনের আগে; আমি তবে বাসি দেহে কয়দিন থাকিবার পারি তোমাদের ঘরে?