পড়ছে তারে মনে,
আমায় নিয়ে স্বপ্ন ছিল
যার দুচোখ জুড়ে।
আমায় দেখে বলত যে
সে,
"ভাইপো আমার বড় হবে।
মানুষের মতো মানুষ হবে।
কবে যে আসবে সেদিন?
তর যে আমার সয়
না প্রাণে।"
সে যে ছিল একজন।
রোগ নিয়ে লড়ছে সেদিন
নাই যে তার স্মরণে,
বলছে বাবাকে ডেকে
"ওগো ভাই! একবার কি
দেখাবি না তোর ছোট্ট
ছেলেটাকে?"
মা আমায় বলছে ডেকে
"দেখেছিস খোকা?
এই হলো তোর জ্যাঠা,
রোগের সাথে করছে লড়াই
তবুও তোকে ভুলে না।
দেখেছিস তোর প্রতি কত
মায়া!"
সবকিছু আজ পড়ছে মনে।।


রোজরাতে মোর স্বপ্ন দেশে,
ডাকে আমায় দূর হতে
সে,
দেয় যে সে বাড়িয়ে
হাত
জড়িয়ে আমায় ধরবে বলে।
ছুটে যে যাই ধরব
তারে,
কাছে গেলে পাইনা তারে,
বুঝতে পারি সে যে
আজ
আমার থেকে অনেক দূরে।


প্রাণটা ভরে তখন তারে
পারিনি যে বাসতে ভালো,
সেই ভাবনা দিচ্ছে কাঁটা,
সবকিছু আজ আঁধার কালো।
বুঝে উঠতে পারিনি তখন
ছিল যে সে অমূল্য-রতন,
পাষাণ হৃদয়ী অহঙ্কারে
বুঝে‌ও যে বুঝিনি তারে,
আজ সে কথা মনে
হয়ে কেবল
অশ্রু ঝরে নয়ন ভরে।।


ছিলাম যে কত অজ্ঞ,
আমি হতে পারিনি যোগ্য,
বুঝতে যে আমি পারিনি
কেউ নয়গো তোমার তুল্য।
অভিমান করে থেকো না,
মার্জনা করো এই আমারে।
তোমার জন্য প্রার্থনা,
তুমি ভালো থেকো ওপারে।
তোমায় যে আজ
করছি স্মরণ,
আমার খাতা-কলমে।


'অভিমান'
অক্টোবর ২,২০২০
উৎসর্গ: মেজো জ্যাঠাকে
[কাজী নজরুল ইসলামের 'অবেলার ডাক' কবিতা অনুসরণ করা হয়েছে কিছুটা।]