সেদিন সন্ধা বেলার কথা খুব মনে পরছে অপুর।সরা বিকাল রমনায় কাটানোর পর ওরা যখন বাসায় ফিরছিল তখন শেষ বারের মত দেখেখিল রিতু কে।
অপু রিতু ওদের খুব প্রিয় দুইটা শব্দ।ওরা বিশ্বাস করে ওরা দুই দেহ এক আত্মা।কথাটার সত্যতা তারা দেখিয়েছে।
ওদের এই ভালোবালা প্রায় এক বছর ধরে।সম্পর্কটাকে  ওরা সারাজীবনের সপ্ন করারস্বপ্ন দেখে।
যাই হোক।সেদিন অপু আর রিতু দেখা করেছিল হয়ত তাই ওদের শেষ দেখ।রিতুকে অসাধারন লাগছিল ওর চোখে।তাকিয়ে ছিল ওপ্রতি সারাটা সময় ধরে।রিতু পড়া ছিল লীল রঙের একটা শাড়ি আর অপু পড়েছিল সাদা কালো চেক শার্ট।ভিতরে একটা টিশার্ট।
অপু আর বিতু তেমন কোন কথা বলে নি শুধু দুজন দুজনের হাত ধরা ছিল।আজ রিতু কেমন জানো অদ্ভুত এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ কেশে উঠল রিতু।তারাতারি অন্য দিকে ফিরে গেল।অপু ভাবল লজ্জা পেয়েছে হয়ত।কিন্তু কাশিটা একটু অন্যরকম ই ছিল।
যাই হোক দীর্ঘ মুহুর্ত ধরে কাটিনো মুহুর্তের এক পর্যায়ে রিতু বলে,মরার পরেও আমি তোমাকে ভালোবাসব।অপু বলে আমি যতবার জন্মাবো ততবারই তোমাকেই ভালোবাসব।
সূর্য পূব আকাশে হেলে পরছে।ওরাও পার্ক থেকে বেরিয়ে ফুটপাত দিয়ে হাটছে।তখনও একজন অন্যজনের হাত ধরা।এবাঁধন যেন ভাঙা যাবে না।কিন্তু প্রকিতির নানান নিয়মের বেড়াজালে ভেঙে যায় এর চাইতেও কঠিন কোন বাঁধন।
ওরা ফুচকা খাচ্ছে।রিতুর খুবই পছন্দ।টক একটু বেশিই পছন্দ রিতুর।তবে আজ রিতু কেবল অপুর দিকেই তাকিয়ে আছে তেমন খাচ্ছেও না।অপু ওর দিকে তাকালে ও দৃষ্টি সরিয়ে রাখে।অপু জিজ্ঞাস করল তুমি যে খাচ্ছ না।রিতু বলল কিছু ভালো লাগছে না।
অনেক রাত হয়ে গেল।অপু আর রিতু হাটতেছে।রিতু বলল -আমার যে যেতে হবে।
-একটু পরে গেলে হয় না।
-এভাবে বল না।আমার যে যেতেই হবে।
-কেন জানি খুব কষ্ট হচ্ছে।তোমাকে হারানোর ভয় হচ্ছে
-হওয়াটা অস্বাভাবিক না।
-তোমার নাকের কাছে কি রক্ত।
-রক্ত হবে কেন টক লাগছে হয়ত।যাই হোক আসি।
বলেই জীবনে প্রমবার জড়িয়ে ধরেছে অপুকে।চোখে জল।অপু অবাক হয়ে রইল।রিতু বলল তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি।অপু বলল আমি তোমার চাইতে বেশি।
এর পর চলে গেল রিতু কান্নাভেজা চোখ নিয়ে আর দেখা হয়নি কখনও।।