বর্ষা এল, বৃষ্টির পানি নদীতে ভরপুর
সাঁকো পেড়িয়ে খালি পায়ে যায় যে বহুদুর।


পাল তুলে নৌকার মাঝি ভাটিয়ালী গান গায়
শক্ত করে ভাইকে ধরে বোনটি শাপলা কুঁড়ায়।


কৃষ্ণচূড়ায় বৃষ্টি পড়ে লালটা গেল বেড়ে
কিছু ফুলে পিচঢালা পথ ঢেকে গেল লালে।


লাল শাড়িতে রাঙ্গা বঁধু কলসি নিয়ে কাঁখে
পানি নেয়ার নাম করে সে পুকুরে নামে।


ঐ দেখা যায় কদম গাছে কালো কাকটা বসে
ঘাপটি মেরে নুইয়ে, বৃষ্টি পড়ছে ঠোঁট ছুয়ে।


জানালা থেকে হাত বাড়িয়ে হাতটি নিচ্ছে ভিজিয়ে
খুব সুখে সে দিব্যি আছে, বুঝা যায় হাসিমুখটি দেখে।


সন্ধ্যাবেলা নতুন বাহার সবার ঘরে ঘরে
মোম বা হারিকেন-এর আবছা আলো জ্বলে।


মেঘের ফাঁকে চাঁদ মামাকে দেখা যায় না ভালো
তাইতো আজ রাগ করেছে দিচ্ছেনা বেশ আলো।


মধ্য রাতে শিয়ালের ডাকে ঘুম যদি যায় ভেঙ্গে
বাইরে তাকালে দেখবে তুমি লক্ষ জোনাক জ্বলে।


সকাল বেলাতেই ভাপা পিঠার গন্ধ নাকে আসে
মুখ আর হাত, কে ধুঁইবে কখন? সোজা রান্না ঘরে।


মায়ের ছোঁয়ায় খেজুর রসে মিষ্টিটা যায় বেড়ে
কে খাবে? আগে কে খাবে? এই নিয়ে যায় লেগে।


সূর্যি মামা যখন এসে উঠোনে দেয় উঁকি
শিশির বিন্দু সোনা রূপে নিয়ে যায় যে ছুটি।


গরু নিয়ে রাখাল চলে হাতে বাঁশের বাঁশি
নদীর পাড়ে ঝাঁও গাছটায় বকের লম্বা সারি।


ধান ক্ষেতে রোদের আলো ছড়ায় যে সোনা
যত দেখি যতই সব দেখা মন তো ভরে না।


সোনার দেশ সোনার মত করে যে ঝিলিমিলি
তুমি আমি আমরা সবাই এই দেশকে ভালবাসি।


১১-০৭-২০১৩