একটু হাসির কিছু মনে হলেই-
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়া সদা হাস্যময় এ আমি
নির্দ্বিধায় হাসিকে নির্বাসন দিয়েছি ।
আমার ছিটেফোঁটা ভাসমান সুখগুলোকেও এতটুকু ছাড় দিইনি
সবকটাকে অবলীলায় অবরুদ্ধ করেছি গুনে গুনে ।
দূর থেকেই দূর-দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছি
আমার যত উচ্ছ্বাস ।
আনন্দকেও রেহাই দিইনি, শাসিয়েছি কড়া চোখে ।
সুচালো তীরের ক্রমাগত নিক্ষেপে
ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে উল্লাসের বুক ।
চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে প্রতিটি আহ্লাদকে মেরেছি গলা টিপে ।
বাদ পড়েনি আমার একটি খুশিও ।


যেদিন তুমি বলেছিলে, বাড়িতে আমার বিয়ের কথা চলছে
আমি মাকে তোমার কথা বলেছি,
বলেছি- সে শিক্ষিত, সামাজিক, বিনয়ী, সুদর্শন.....
সে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরিও করে ।
মা বললো-
ধেৎ
"সরকারি চাকুরী" এতটুকু হলেই চলবে ।


আমি জিজ্ঞাসা করলাম, মাকে তুমি কি বললে ?
উত্তরে বললে-
তুমি যে ভালো কবিতা লিখ এটা বলতে আমি ভুলে গেছিলাম ।


সেই দিন থেকে আজ দশ দশটি বসন্ত পেরোলো
আমার প্রতিটি  বসন্ত বরন ও বিদায়-
কেবলি ক্যালেন্ডার বদলের মাধ্যমেই সারা ।


বরাবর কর্তৃপক্ষ.....
বিষয় .....
জনাব.....
অতএব.....
বিনীত নিবেদক.....
সংযুক্তি.....
এসবই আমার মাঝের দশটা বছর ।


আর তোমার-
তিন ছেলে, শশুর-শাশুড়ি, সোনার হরিণ (সরকারি চাকরিজীবী) বর ।
আর আছে এক দিদি (সতীন) ।