শুনেছি সেদিন উদ্ভব হয়েছি-
রহমানের কৃপায়!
স্বার্থ শূন্য পিতার ঔরসে,
দুঃখী ধাত্রীর ভ্রুনে;
হামগুরিকালে বাবারে মোর-
দেড় যুগে দুঃখীনিরে,
ক্ষুয়েই  অভাগা!
তবে আমিই কেন,
অসহায় স্বার্থান্বেষী দরবারে?
এই যে ভগ্নী,মাতুল-পত্নী,পিতৃব্য-পত্নীর;
অসহনীয় ভ্রুন যন্ত্রণা,
কলিজা ফাটানো আর্তনাদ।
আমি চক্ষু ভরে ভক্ষণ করি,
হৃদয়ে অনুভব!
অষ্ট প্রহর ঘাম চোয়ানো-
একজন পিতার রক্তচক্ষু,
নিমিষেই অবগুণ্ঠন!
সবই দেখি,সই;
ঠিক এমনি হয়েছো,সয়েছো-ঋণী করে ,
অসহায় বানিয়ে  প্রভুর সান্নিধ্যে রয়েছো!
তোমাদের  চাই,খুব কাছ থেকে চাই।
প্রভু উপায় দেও,
প্রচণ্ড অসহায়ত্ব নিয়ে প্রহর-
প্রহরী দিচ্ছে এ অঙ্গ!
হৃদ যন্ত্রশালা ব্যথিত, তৃষ্ণার্ত,হাহাকারে মোর।
যদি পেতাম আব্বা-আম্মাকে!
সব অসুখ সেরে গিয়ে-
সুখে আত্মতুষ্টি নিতাম!
মহান রব!
কষ্টসাধ্য ত্যাগের ভোগ পোহাইতে,
তোমার সান্নিধ্যে সুখকর পরকাল-
ভিক্ষা চাই পিতা-মাতার জন্য!