হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
খোলো আঁখি!আমজনতার ডাকে নিদ্রাতে তোর যাবে কত বেলা
দেখনা চেয়ে,দুর্বল পেয়ে ঐ মেতেছে নরপশু নিপুণ ত্রাসের খেলা!


            হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
জাগোরে ফের-মৃত্যজয়ী বীরের জাতি বঙ্গবাসি যতো
দাও দেখিয়ে হিম্মতে সব যাক পালিয়ে দুশমন শতো।


           হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
কণ্ঠে তুলে বিদ্রোহী সুর-শত্রুর ভূখন্ডে ঐ মারো ছুঁড়ে
বহুদিনের ক্রোধান্বিতনালা জ্বলোক শত্রুর ভুবনজুড়ে!


           হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
নির্বাক কেনো!সিংহের গর্জন হেকে চুর্ণ করো শত্রুর ঘেড়া ঘাটি
জ্বলসে ওঠো!শত্রুর কব্জা থেকে মুক্ত করো রক্তে ভেজা মাটি!


            হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
বাঁধার প্রাচীর দাও ভেঙে দাও দুশমন পালাক বাংলা ছেড়ে
দেশ জনতার দুর্দিনে সব আয়রে সীমারের প্রাণ নেনা কেড়ে।


            হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
আন্দোলনে দে ফিরিয়ে নিপীডিত জনগণের ন্যায্য অধিকার
ওরে দামাল কামাল বঙ্গ সন্তান শুনি চৌদিকে তোর জয়জয়কার।


            হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
যত সংহার যত বিনাশিকা মর্দন করো পদদলিত
স্বৈরশাসকের দাসত্বে আর কতকাল রইবি জীবন্মৃত?


           হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
কেবা তোদের ঘুমটি পাড়ান চোখে মুখে ভীতি মেখে
জালিমরা ঐ হাসে অট্রহাসি করুণ মুমুর্ষ রূপ দেখে?
          
           হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
স্বাধীন হয়েও স্বাধীন দেশে কেনো সত্য  বলতে মানা
পরাধীনতার ঐ কোষাধ্যক্ষে বন্দি জীবন শোকরখানা!


           হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে মা বোনের সম্ভ্রমে কেনা শহীদ মিনার
তাজা রক্তে ভেজানো এই মোদের স্বদেশ পদ্মা মেঘনার!


           হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
দে জানিয়ে পাষণ্ডকে আমরা বীর বাঙালি যে
অন্ধকোঠার ঐ কারাগার ভাঙতে পারি লাথিতে!


            হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
নিরব কেনো গর্জে ওঠো সাহস জোগাও দেশ-বাসির মনে
তিক্ত ব্যথা দাও ঘুচিয়ে বিনাশ আনো জালিমের ঐ নিপীড়নে!


           হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
রাজপথের ঐ রণাঙ্গনে জাগ্রত হও সদা তুমি  অগ্রভাগে
হায়দারী হাক কঠিন বজ্রাঘাতে দুশমন প্রাণে ভীতি জাগে!


            হে বিনায়েক বিশ্বজয়ী!
শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা,জগৎ ভূমে দস্যির বুকে জ্বলন্ত বোম
দৈন্যদশার দিনযাপনের দৃশ্যপটে তুমি গলিত মোম!