মহাবীর আজ চরণমর্দন!  
নির্বোধ জাতি!নির্লজ্জ বেহায়া রইবি কত নিশ্চুপ নিদ্রায়
ঐ মেতেছে নরপিশাচ উল্লাসে আজ স্বদেশ নিন্দায়।


হে বীর হও পদার্পণ!
বজ্রহাকে গর্জে উঠো-বিনাশে ফের জালিম যতো;
যায়নি মুছে চোখের পানি রক্তের চিহ্ন বক্ষ থেকে একাত্তুরের ক্ষত!


উবড়ে ফেলো পরগাছার মূল জাগো শত্রুর বক্ষ ফুঁড়ে;
জ্বলসে উঠো ধুলিস্সাতে স্বৈরশাসকের প্রাচীর চুড়ে।


হে বীর বিপথগামী!
আগে বাড়ো নির্বাক কেনো!ভেঙে দাও ঐ দুষ্করেরই দন্তপাটি—
হুকুম ছুড়ো জালিম মুখে বাঁচতে হলে ছাড়ো স্বাধীন দেশের মাটি।


হে পাষাণ্ড চিরতরে যাও চলে যাও ভারতে এ দেশে ছেড়ে
জেগেছে ফের বীর বাঙালি জালিমদের প্রাণ নিতে কেড়ে?


জাগো যতো সাহসী বীর!  
রুখে দাও ঐ জালিম যতো ফিরিয়ে দাও নিপীড়িত-অবহেলিতদের অধিকার;
স্বদেশ দুশমন নির্মুলে ফের ঐক্য গড় যুদ্ধে লড়ো মান যায় দেশ-মাত্রিকার!


হে দুরন্ত হে মহাবীর!
নীরব কেনো তোমরা হলে বিশ্বনন্দিত!
জালিমশাহীর অট্রহাসি তিরস্কারে বীর বাঙালি ভীত?


জীবন দিয়ে স্বদেশ গড়ে অন্ধ সাজো চোখে কাদা মেখে
লুকায়িত ঘরের কোণে চোখের সামনে স্বদেশ জ্বলতে দেখে!


তোদের ভয়ে উঠতো কেঁপে নরপশু পাকি সেনা
মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থেকে আর বাড়াসনা দেনা?


ফোক রে বীর স্বাধীনতার শোকে পূর্ণবারে বিজয় বীণার
আজ জালিমের পদস্থতে অপবিত্র স্মৃতিসৌধ-শহীদ মিনার


বাংলাদেশের পটভূমি লক্ষ বীরের কারখানা যে!
তবুও কেনো নীরব থাকি উচ্চনাদীর কুকুর সেজে!


লক্ষ মায়ের বুকের মানিক ঘুমিয়ে এই  লোহিত জমিনে
রক্তে রাঙা এই ভুখন্ডে দিন মজুরে পরিশ্রমে হাক ছাড়ে কমিনে!


কোথায় আমার মজিব, জিয়া, উসমান গণি
তোমরা ছিলে বাঙালির প্রান দুষ্থের শিরোমণি!


হে বীর ঘোর ধরীত্রির!
ন্যায় পরায়ণ জাগুন! জ্বলছে আগুন শহর নগর জুড়ে পুড়ছে পঞ্চাশীতি
বাজাও খঞ্জন হাকো গর্জন হে পট্রমহিষী বন্ধ হোক সব অনিয়ম দুর্নীতি!