পত্রিকায় চোখ মেলতেই দীর্ঘশ্বাসে!
বুকে প্রকট ধুকধুকানি প্রলয় ঘন্টা বাজতে থাকে;
বায়ান্ন সেই একাত্তরের বর্বরতা এখনো নৈঃশব্দে হানা দেয় প্রত্যেহ।
দিবা কিংবা নিশি কাটে জনজীবন দূর্বিসহ ঘোর সংকটে-ভীষণ উদ্বিগ্নতায়;


উচুঁতলার দানবেরাই সুখ বিলাসী জীবন হর্ষে কাটে আর আমাদের দৈন্যদশার দুর্ভিক্ষের হাহাকার।
নিঝুম রাত্রির ওপার থেকে করুণ আর্তনাদের চিৎকার ভেসে আসে;


তোমরা উচ্চে ওঠায় ব্যস্ত আমরা প্রতিদিন লাশ ঢাকার কবর খুদাই-
সহস্র গলিত লাশের দেহ দেখে আফসোসী নই দুঃখে কারো কাতর।
লৌহিত খুন-খুনের তাজা গরল বাণে তোমাদের স্মান করতে দেখি রোজ নরপিচাশদের জন্মই রাক্ষসীর ব্রন থেকে?


দুঃখ,ঝরা, খরা,অমিংমাসিত কলহ তাড়িয়ে তাড়িয়ে ধেয়ে
আসে মৃত্যুর পরোয়ানার বার্তা দৈন্যদশার জীবন বাকে,
হিংসার অনল প্রবা‌হে পুড়ে ছারখার মুহুর্তেই সাজানো বাগান;
বন বাদাড়ে ঝোপের আলে কিংবা পঁচা নর্দমাতে ভাসমান সহস্র লাশ কান্না করে বক্ষ ফাটায়
জালিমের চোখ উৎফুল্ল হয় কর্কশ ঘৃণার প্রলেপ আঁটে দীর্ঘশ্বাসের,
এসব কীর্তন নৃত্য দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
কি ঐ সদ্য আগমনী অবুঝ শিশুর প্রাণে মৃত্যুর খবর শুনে চমকে ওঠে চিৎকারে কি আসে শোকের অশ্রু চোখে?


ভয়ে আঁতকে উঠি রক্তখর্ব এজিদের চোখ দেখে
অতর্কিত দাঙ্গায়,হাঙ্গেরিদের আক্রমণে!
জেগে ওঠবে কি পীড়িত আমজনতা প্রতিবাদে জাগবে কি ভীরুতা প্রাণে উদ্দাম সাহস জালিম নাশে পরাধীন পতনে?
সত্যটাকে ধামাচাপা দিতে কতিপয় জন হুংকার হাঁকে গোলটেবিলে চা-সংলাপে
প্রতিপক্ষের ভলির পাঠা বলে চালিয়ে দেয় খুন,গুম,লুণ্ঠন,ধর্ষণ!


কাব্যগ্রন্থ রক্তাক্ত মাঠ