হে নওজোয়ান শপথে আজ মাস্তুল তোলো ব্যভিচারে পতন ঘটাতে
অনাগত কাল চুর্ণিশে রূখে দাড়াও হিম্মত রেখে
ভীতু প্রাণে ইতিহাসে হবে পূর্ণবারে নাম লেখাতে।
শ্বাসরুদ্ধকর পৃথিবীতে নেই ফেলার দম
রক্তে রক্তে লেখও
নতুনত্বের এক ইতিহাস :
ধুমকেতুর পদধ্বনিতে কম্পিত হোক অন্ধকারের ক্ষীণ ধারসম
মাস্তুল তোলো দস্যু গ্রাসে ফের সংঘাতে।
মুছে ফেলো অশ্রু চোখে বিস্ফোরিত হোক জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি,
রণ-ভুমের লীলাক্ষেত্র অযুত খুনে রাঙা নব জাহেলি যুগ
রক্ত সিন্ধুই খাক ঘূর্ণিপাক;
পল্লী,নগর,প্রতিধ্বনিত হোক বিদ্রোহীর কুচকাওয়াজে!
স্বদেশ বাঁচাও নদ-নদী,সবুজ অরন্য আর জনজীবন
আজ এই নির্মম বিদ্বেষী পৃথিবীর জালিমের হোক দমন,
মাস্তুল তোলো হে নবীনা শত্রুর রক্তে হাত রাঙাতে!
শস্তি আসুক ফিরে অস্থির প্রাণ-অন্তরে,
স্বাধীনতা সিনে বাধার তরে
তাগুত জয়ী হিম্মত রেখে বুকে,
সম্ভাবনাময় এক আগামীর পথে এগিয়ে যাও সম্মুখে?
অভেদের জাল ছিঁড়ও দৃঢ় প্রত্যয়ে মাস্তুল তোলো অবাধ চঞ্চল হাতে!
জঙ ধরা ঐ মাস্তুল রঙিন হোক দুশমনের খুনে,
জাগ্রত হোক অবচেতন চোখ শূল বিষধর
যে মাস্তুলে জুলুম অবসানে উগ্রবাজের কষাঘাতে যায়না যেনো থেমে—
নিপীড়নের সম্মুখ হরহামেশাই মৃত্যু আখড়া ঘাড়ে,
মৃত্যু শংশয় দুঃখ ঝরা বাসা বাধে দৈন্যতার সংসারে;
জরাজীর্ণ জীবনেরে মুক্তি দেব আমি মুখের কথা নয় প্রতিজ্ঞায় নেমেছি রাজপথে হে নবীন যুদ্ধের মাস্তুল দিতে তোমার হাতে।
জাগো দুর্বার যারা দুঃখে বারমাসি;কেন যাপনে এই হীন যাযাবর জীবন-
তোপের মুখে উপেক্ষা দেখাও হে নাবিক হও আগুয়ান,
হাতে তুলে নাও রণের ঐ তরবারখানি;
বীরত্বের হুংকারে শত্রুর বুকে জাগুক জাগাও ভীতিকর ঝাঁকুনি-
রক্তের এই হলি খেলায় রাজপথে নামতে হবে
ফুল ফোটাতে খুন উদ্যানে
প্রাণে রেখে জয় বাসনা
ভীতিজনে বিদ্রোহ দানে
স্বৈরাচারীর পতনে তাই দিয়েছি ডাক,
এসো হে বীর জয় উল্লাসে পায়ে পিষে হিংসা অভেদ;
অনিয়মের জিঞ্জির ভাঙতে আবার দুর্বার মাস্তুল তুলো শক্ত হাতে!