বর্বরতার মুখে চুনা মেখে
সত্য-ন্যায়ের পক্ষে কাব্য লেখি
অরাজকতার সম্মুখে আমি হিমালয়ে খাঁড়া  করি পিশাচ তাঁড়া!


দুর্ভিক্ষের দ্যুলোকী
অগ্নিকুণ্ডে দাপাদাপি দেখি তাকে রোজ কাতরাতে
আগাম প্রহর-প্রোজ্জলাকাশ লুকোয় অন্ধকার অলক্ষ্যে!


সুপ্তির বুকে কতিপয় জন্মানো উদ্ভব উদ্ভিদ-
দুর্বল শিকড় তবু রয় হা-গ্রাসে
গোটা বিশ্ব কাঁপাতে চায় ক্ষণস্থায়ী সুখ উল্লাসে!


সদ্য এক ভূমিষ্ঠ বিকল শিশুর,
আধ খোলা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি জুড়ে দেখি তীব্র ঘৃণার সমীকরণ,
অভয় চিৎকার ছুঁড়ে দেয় সে হুংকার করে দৈন্যদশার জীবন দূরিভুতে মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে যেনো তুলে নিবে অগ্নিমশাল
আঘাত হানতে উদ্ধৃত জালিমের পাষণ্ড পাঁজরে।


কি বিভৎস নৃত্য—
পবিত্র ভূখন্ডে নির্লজ্জ ক্রাশ দৃষ্টি ছুঁড়েঃ
অন্ধকারে কী আলোতে বিরাজ মানুষের অন্তরে প্রত্যেহ সরোবর ফলে!


কাব্যে খাতায় লিখে যাচ্ছি প্রতিরোধে জুলুসে বিদ্রোহে জ্বলে উঠে আমার কলম আগ্নেয়াস্ত্র বারুদ সম;
আমি অন্যায় অবিচার সম্মুখে দাঁড়ায় হিমালয় স্বরূপ।


শিথিলতার ধরাসামে আদিকার সহস্র নরপিশাচ
নর্দমাতে,দূষণ নালায় সংগোপণে উদ্ভিদ স্বরূপ জোঁকের মত চুপে আছে,
মানব সভায় আষ্টেপৃষ্ঠে এঁটে ছড়ায় বিদ্বেষ বিদ্রূপ;


কাব্যগ্রন্থ:-রক্তাক্ত মাঠ