জীবনের প্রয়োজনে অচেনা সব রাস্তায়,
খাচ্ছি হোঁচট বারেবার।
নিরংশু এক দুর্ভেদ্য রন্ধ্রে আছি পড়ে,
কেউ নেই হাত ধরে তুলে উঠাবার।


আত্মারামের প্রারম্ভেই ভেঙে গেছে মগডাল,
সাধ্য হবে কি আর ঘুরে দাঁড়াবার।
নিরাশায় আজ ভরে গেছে মম কায়া বিশ্ব,
নিকাশের গন্ধ শুকতে চাই বেঁচে থাকবার।


হায়! কি নিদারুণ কঙ্কণ এ দেহ মাঝে।
ক্ষনে ক্ষনে দু:সহ বিষাক্ত সুর বুকে বাজে।
আহা! কি যন্ত্রণায় কাটে প্রতি দিবসও নিশি।
হিমালয় ভূমধ্য পর্বত কেমনে বুকেতে পুষি।


কোথায় যাই আমি কাহার অর্শিতে শুধাই।
ঝিকুটে মোর চাপা কান্না তব অক্ষিতে হ্রদ নাই৷
আমি কনক ঘসে পেয়েছি বিষাক্ত অঙ্গার।
আমি রওনক ধসে বারবার পেয়েছি ধিক্কার।


আমি সারা স্তূপের গুণ্ঠন দিয়েছি গায়ে,
তব আজ ত্রিশংকু দশায় ভরেছে মোর দেহ।
ধামাধরা হতে পারিনি ভবে তাই সাক্ষীগোপাল,
অর্ধচন্দ্রের তোপে এ-ই নিয়ম আর কতকাল?