অতি বিন্দু বিন্দু করে
সিন্ধু'র মাঝে বসে শুকিয়েছি বারি।
হাজারো বিবাদ দুলিয়াছি পায়ে,
তবু তুলিয়া আনিয়াছি মুষ্টিবদ্ধ বালি।
যার বুলি দুলাইনি কভু পাঁয়ে,
সেও গেছে মস্তক ছেদ করে।
জাত্যংশ জাল্বায় জ্বলি দিবস ও নিশি,
আননে মোর আজ নেই কোনো হাঁসি।
অকুল পাথারে পড়েছি বারেবার,
তবু  করিনি মাথা নত।
শত অভিযোগ অভিমানে হয়েছে
আজ ভিতর টা ক্ষত৷
তামার বিষ মোর ছিলো না কভু,
নিরামিষে পার করিয়াছি অসু।
অতরল সব ক্ষেত্র নিজেই দিয়েছি পাড়ি,
কাঁটার জ্বালায় আজি ক্লান্ত দিবানিশি।
হায়! কে পুড়িলো মোর শশীকরো ধার,
কেমনে পুড়িলো সে সোনার  মনিহার,
ভ্রষ্টাচরণ হইনি কভু উচ্চাকাঙ্ক্ষার লোভে,
ঘটিরাম হয়ে রয়ে গেলাম তাই সুশীলের কাছে।
পাথরে ফুটিবেনা ফুল মিছে প্রত্যাশা জাগে,
অদৃষ্টের পরিহাস আমি দোষ দিবো কাকে?
হিতে কভু হইনু দাসী পদস্খলনে তাই গঁজনার দ্বার,
গতিপথ থেকে এক বিন্দুও হইনু বিচ্যুত,
বিবসন আজ সুশীল সমাজ।


প্রয়োজনে.......
বিন্দু: শুন্য,ফোঁটা, সঙ্কটমুহুর্ত৷
সিন্ধু : সমুদ্র, মহাসাগর।
বারি : পানি, জল, সলিল।
বিবাদ : লড়াই, সংগ্রাম।
বুলি : কথা, বাক্য।
মস্তক : মাথা, শির।
অকুল পাথার : সীমাহীন কষ্ট।
তামার বিষ : সম্পদের লোভ,অর্থের লোভে পাপের পথে পা দেওয়া।
অসু : জীবন, আয়ু, অস্তিত্ব।
অতরল: অনড়, কষ্টসাধ্য, কঠিন।
শশীকর : সুখের মোহনা, চন্দ্রাকার কোনো বস্তু।
ভ্রষ্টাচারণ : অন্যায়ের পথে পা দেওয়া।
ঘটিরাম : অপদার্থ, অযোগ্য।
প্রত্যাশা : আশা, প্রতীক্ষা।
অদৃষ্টের পরিহাস : ভাগ্যের নির্মমতা।
জাত্যংশ : সংসার, অন্বয়।
আনন : মুখ, পৃষ্ঠ।
বিচ্যুত : পিছিয়ে যাওয়া,ব্যার্থতা স্বীকার করা।
বিবসন : নগ্ন,বিবস্ত্র,উলঙ্গ।