দারুণ তীব্র সশব্দ-আলো ধারালো ছুড়ির মতো,
কেটে কুটে একাকার করে দিচ্ছে রাতের নিস্তব্ধতা সহ-
বহুকালের নিয়মে বাঁধা ঘোর লাগা গভীর অন্ধকার।  


শিশু-কিশোর, যুবক-বৃদ্ধ এক হয়েছে সব
চারদিকে কোলাহল- আনন্দের, খাটি উৎসবের।
দল বেঁধে নেমেছে সবাই, দল বেঁধেই তারা গায়-
পূর্ণতার গান; কেউ কেউ এরই মাঝে-
দরাজ গলায় সুরে তোলে বিষণ্ণতার কলতান।
বুক ফেটে চিৎকার করে ছড়িয়ে যেতে চায়-
নিজের ক্ষুব্ধ অচেনা অবাধ্য অবয়বে।
দাবার কোটের মতো শিক বেঁধে নিয়ে-
উত্তপ্ত কয়লার শিরভাগে মেলে দিয়েছে কেমন,
আনাড়ি হাতে এবড়ো থেবড়ো কাটা নরম মাংস।
এতো কোলাহল, এতো অস্থিরতা প্রকৃতির-
ঘুম ভেঙে যায় মায়ের কোলে সাদা বক শাবকের,
ঘুঘু, পেঁচা, রাতের বাদুর সহ রাস্তার নেড়ি কুকুরের।
এ আয়োজন বিরূপ সাজন কেবল শুধু নতুনের।
পুরোনোকে সবাই ভুলে যেতে চায়;
ভুলে যেতে চায় লেগে যাওয়া দাগ ভাঙনের।


ঝাঁঝালো আতশ, বিকট বিস্ফোরক, রঙিন ফানুস যত-
কাঠির কোমল আগুনে জ্বেলেছে কেমন
যুবক-বৃদ্ধ, পিতা পুত্র একত্রে।
আমিও জ্বেলেছি আগুন, বুকের পবিত্র কোটরে-
তার থেকে তুমি নিলে শিখা, উষ্ণ ফানুস জ্বালাতে,
বেদনারূপ ফানুসে উড়িয়ে বছরের সাথে সাথে-
তুমি বিদায় দিলে আমাকে।  


১৭ পৌষ ১৪২৮ / ০১ জানুয়ারি ২০২২ / শনিবার
নারায়ণগঞ্জ।