কোন এক বর্ষায়,
তুমুল বৃষ্টি ভেজা আকাশে উড়ে অনেক দূর-
একসাথে ভিজতে বেড়িয়েছিলাম; তুমি আমি।  
সাদা রুপালী ডানার গাংচিল হয়ে।  


ঠিক সাল মনে নেই,
বোধহয় সেবার প্রথম বঙ্গাব্দ ছিলো।
এ জল ও জলে ডুবে ডুবে সেথায়-
আমাদের জীবন্ত সংসার!
ধানি জমিটার পাশে,
বিরাট কড়ি গাছটার কথা মনে আছে?
কত যত্নে তার ঢালে-
গড়েছিলাম শান্তির নীড়।  
যৌবন খোয়ানো, বুড়ো ধানের সোনালি শীষগুলো-
সূর্যের আলো ছুড়ে দিয়ে চোখ ঝলসে দিত।


মনে পড়ে তোমার,
সে জনম আমাদের কেমন কেটে ছিলো?
সে জনমে তোমাকে পাওয়ার পূর্ণতা ছিলো!
নদীর জলে ডুবে ডুবে আমাদের খুনসুটি ছিলো!
মুগ্ধতা ও ভালোবাসায় কেটে গেছে সে জনম।  

এরপরও তুমি আমি জন্মেছি বহুবার!
কখনো কালো পানকৌড়ি হয়ে,
কখনো গৃহস্থ বাড়ির পোষ্য কবুতরের ঝাঁকে,
কখনো বা মর্ত্য-পাতালের জীব,
কখনো ফের গাংচিল হয়ে।


কিন্তু এবার জন্মালাম মানুষ হয়ে,
মুক্তমনা স্বাধীন মানুষ,
দুরন্তর স্বার্থান্বেষী ভালোবাসার মানুষ!
এবার তুমি আমার হলে না।
এ জনমে যেনো তোমার সাথে আমার-
হাজার যোজন ব্যবধান!  


১৬ আষাঢ় ১৪২৮ / ৩০ জুন ২০২১ / বুধবার
নারায়ণগঞ্জ