লালচে-নীল মেঘ জমেছে তার ঐ কোনে,
রং ফুটেছে,কি ফুটেনি চেয়ে দু-চোখ পানে।
ঘুবরেটা পাখা মেলে উড়ে তারি ধারে,
ফড়িং গুলো এলোয়া ছুটচ্ছে উড়ে ঘুরে।


দিন শেষ এই সাঁজ নামলো বলে!
ফিরেছে কি খোকা? এনেছে কি বাছুর?
ছুটে রোয়াকের ধারে! দেখে জননী।  
হেসে ফোকলা হাসি-দল বেধে আসে,
জননীর খোকা কাদা মাখা বাছুর পিছু।


এসেছে কি চাষা?কাঁধে লাঙ্গল বেঁধে?
হাতে মিঠাই মুড়ি বসে খোকা বাবার পথে!
ফিরেছে মা বাবা!ক্লান্ত চাষের বলদ সাথে।


এখনো আসেনি দাদা?কত ধরেছে পুটি?
কাদা শরীরে দাদা-চাই হাতে আসে গুটিশুটি।
মা এসেছে দাদা ভরা ডুলা হাতে!
আজ কড়া ভাজা পুটি,চাই আমার পাতে।


সাঁজ নামেনি মোটে-গোয়ালিনি আসে ছুটে,
খুঁজে খোকার ঠাকুমা,অবেলা সংকট মুখে।
কি হয়েছে মাসি?অস্থির ছুটে এলে?  
সাপেরে মাঠে দিয়াছে দুখ মোর বাছাধন,
তাই এসেছি কাছিনি পরাবো বলে।


ঠাকুমা মোর গেছে গাঙের ধারে,
পাতিগুলো যে এখনো আসেনি ফিরে।
সাপ,বিচ্ছু কালাজ্বর,জন্ডিস,আমাশয়-
শুধু ঠাকুমার ঝারফোক,পড়া পানির জয়।
গায়ে ওই বিশ্বাসটুকুর বলে,
নিত্য নতুন কত অচেনা মুখ মেলে।


খোকার জীবন ছন্দঃপতন হরেক রঙে বাজে,
দিন হতে দিন যায় চলে এক সুরেতেই নাচে।
এই ধারাতেই সন্ধ্যা নামে রাত আধারে ডুবে,
কর্মধারয় রোজ শুরু হয় সূর্য্যি উঠে পূবে।