কালো হোক,সে তো আমার বাড়ির পাশে,
ময়লা হোক,সে তো আমার দেহেই মিশে।
ভেঙ্গে নিক,সে তো চর জাগিয়ে তোলে,
ভাসিয়ে নিক, সে তো আমায় ঘিরেই চলে।


ভাসিয়ে ডিঙি চলে ও দূরে মাঝি,
ফাটিয়ে গলা গায় সানে মুর্শেদী গাজী।
পাল তোলায় চড়ে কত বধু এই গায়ে ভিড়ে,
রাঙিয়ে নতুন জীবন কেউ তো যায়নি ফিরে।


দু পায়ে বালিশে তনু-তালপাখা চলমান,
রাত জেগে পাহারায় হে মাতা মহান।
রটিয়ে গল্প কত কেচ্ছা কাহিন,
ঘুমিয়ে খোকা সদা স্বপ্নে বিলীন।


বারে বারে হাট বসে বটের গোড়ায়,
হাত দুটি বাবা মোর দু ভাইয়ে বিলায়।
হাটি হাটি গুটি গুটি বাবার সাথে,
রোজ কার নথি তার হাটের পথে।
  
চৈত্রের ভরা মাসে ফকিরি মেলায়,
ছুটে চলি দল সব নাগরদোলায়।
রাস্তার দু ধারে বসে নানা দোকানি,
ছোট হোক বড় হোক কত কিছু কিনি।


আষাঢ়ে নামিলে বারি খালি মাঠে ঘাটে,
দৌড় ঝাপ চিৎকারে মোর দল ছুটে।
বজ্রের ঝলকানি নয়া খাল-বিলে,
দু ধারে লাফিয়ে ওঠা কত কৈ মিলে।


কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরা ভোরে,
দলসব হানা দেই খেজুর গাছ ঘিরে।
ধোঁয়া ওঠা পিঠা পুলির ঘ্রাণ শুকিয়ে,
রোদ নেই ঝাঁপ দেই জলে কাটা দেহ নিয়ে।


হঠাৎ কোন দিন মগ ডালে,
কুহুকুহু কুহুতা নিয়ে কোলে,
ডিঙিতে নতুন পাল তুলে,নিয়ে আসে-
সুবাসিত বসন্ত এই দেশে।

আমি আমরা সবাই,
যুগ যুগান্তর ধরে,
এক পরমাত্মীয় ঘিরে,
বাস করছি এই রূপসী বাংলার তীরে।


অক্টোবর ৬/১৮
নারায়ণগঞ্জ