রাত্রি-কিছু অদেখা ঝিঝির মুখচ্ছবি।
রাত্রি-কিছু অস্পষ্ট নিশাচরের উঁকিঝুকি।
রাত্রি-কিছু নিঃশব্দ এলোমেলো জোনাকি,
রাত্রি-আমি অবাক চোখের বাঙালি।


যেথায় কিছু জমাট বাধা শীতল নিভির,
যেথায় দোল খায় নিভুনিভু কেরেস প্রদীপ।
যেথায় দীপ্ত হীন গহন পথে মড়মড়ে পল্লব।
যেথায় রয়েছে কৃষাণির শীতল পরশ।


সেথায় অস্ত নিভে শুরু হয় আধারে গুনগুন,
সেথায় দীর্ঘ দিনের শায়ানিত ক্লান্ত তনু।
সেথায় মিশে আছে ধানি মাটির গন্ধ।
সেথায় আমি কেন?পৃথ্বী হবে মুগ্ধ।


তবু চেনা আবছায়া এই আধার,
তবু নিসর্গ মুক্ত পথের অচেনা ধার।
তবু ছুঁয়েছুঁয়ে কল্পনার ছমছম প্রেত ভাসে,
তবু বুক ভরে শীতলতার পরশ মিশে।


আমি খুঁজে বেড়াই অন্য কোথাও,
আমি খুঁজে বেড়াই একুল-অকুল।
আমি চোখ মেলে যাই কোন এক দিক,
আমি পাই শুধু দু-চোখ ভরা অমায়িক।
  
হয়তো কিছু দেখা হয়না,
হয়তো কিছু পাওয়া হয়না,
হয়তো কেউ বুঝতে পারে না,
হয়তো আধারের আলো ছোয়া হয় না।


জীবন ভরা ক্লান্তিটুকু মুছে দিয়ে,
পরে রয় আমার মতো-
চূর্ণ হওয়া আঁধারের বাঙ্গালী।