আজ এই তীরে আমি একা
চির একা গম্ভীর,
অথচ এই পথেই রয়েছে রবী ঠাকুরের-
পথ চলার চিহ্ন।
আমি নিথর দেহ নিয়ে ক্লান্ত চেয়ে
চির ক্লান্ত নির্জীব,
অথচ এই পথেই বয় হাজারো বোঝা-
শত কুলে মজুরে।
আজ আমি নৈশব্দ নির্বোধ
চির শান্ত নির্বোধ,
অথচ এই পথেই এপার ওপার কেঁপে ওঠে
ব্যাস্ত লঞ্চ স্টীমারে।
পৃথিবীর সব ব্যাস্ততা বুঝি এখানে,
সকল শব্দরা এসে জুড়েছে,
সকল কুলে-মজুর এসে মিলেছে,
গড়ে তুলেছে এক মহান মিলন মেলা।
কত জ্ঞানী গুনী এ শহরের বুকে-
না কর্মে রাঙানো স্থাপনা শৈলীতে  
রেখে গেছে প্রণাম পদ চিহ্ন!
এই শহরের বুকে কত হানাহানি
মারামারি বিষাদ রক্তপাত।
আবার সবে মিলে মিশে আত্মার আত্মীয়
কাঁধে কাঁধে রক্তের বন্ধন মিলায় ভাইয়ে ভাইয়ে।
এ শহর বড়ই বৈচিত্র্যময়
সুখে মাখা আবার দুঃখে গাঁথা।
আজ এই শীতলক্ষ্যার তীরে বসে-
এই শহরের ছবি আঁকবো।                  


১৩ জৈষ্ঠ্য
নারায়ণগঞ্জ