যাযাবর নির্দয় ঝড়ের আঘাতে
ক্ষত বিক্ষত ক্লান্ত গাছের কাছে
কে প্রার্থনা করে আলোকিত সন্ধ্যা
পথ হারানো পাখিরা
আর দেখে না ঘরে ফেরার স্বপ্ন
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে
নামহীন কবিতার অসহায় ফেরারী কষ্ট।


চারিদিকে সব অর্থহীন শূন্যতা
যন্ত্রনার অন্ধকারে,
স্মৃতিরা গহীন মায়াময়
একমাত্র নির্বান অস্তিত্ব,শেষ অনুভ্‌ব
শেষ বোঝাপড়া।


দাঁড়ানোর কোন ঠাঁই নেই
সব নিশীথ আশ্রয়, নির্ভয় বিশ্বাসী চোখ
আজ অচেনা, অনেক দূরের
শেষ বিকেলের কারুময় বাঁশীর সুর
নিরাকার অপার্থিব পাওয়া
সময়ের নির্মম বিলাসী অবসর।


কোথায় পথ ,কোথায় কে ভালবেসে ডাকে
নিঃশব্দে হাতে তুলে দেয় শোকার্ত তানপুরা
চোখে চোখ রেখে বাজায় মায়াবী সুর
নদীতো কখনও ফেরে না উৎসের টানে
সমুদ্রের লোনা জলের স্নান
হৃদয়ের গভীরে তোলপাড় বোধহীনতা
সব মিলিয়ে যেতে চায়,মিশে যেতে চায়
অদৃশ্য কোন সত্তার অদৃশ্যতায়।


মনে পড়ে  না কোন শৈশব,কোন সখ্যতা
কোন পোড়া স্বপ্নের কান্না
মেঘের জলকণা ঝরে পড়ে না কাঞ্চন মাটিতে
ফসল বোনার সময় বয়ে যায়
বেদুইন খর দুপুর, বেদনার্ত ধূ ধূ মাঠ
শোনায় ব্যর্থতার গল্প
একটি জন্মের করুন পরিণতি
একটি স্বপ্নহীন মৃত্তিকা প্রজাপতির শেষ উড়ে যাওয়া...