কুশ পুত্র বিশ্বামিত্র,
তপস্যার গিরিধার গাঁথুনিতে সিদ্ধ।
ক্ষত্রিয় কূলে জন্ম নিয়েও ব্রক্ষ্মজ্ঞানে বিজ্ঞ।
কামধেনু লাভের অতিকায় লালসায়,
বিধ্বস্ত পিতৃমন পুত্রহারা যাতনায়।
ক্রোধান্ধ বিলাপে নিক্ষিপ্ত শত শর,
ব্রক্ষ্মদন্ডে পরাহত শত সহস্র বার।
ক্ষত্রিয় শ্লাঘা মৃত্তিকা ছোঁয়া গ্লানিতে ভারাক্রান্ত,
দক্ষিণমুখে যাত্রাপথে তাই কঠোর তপস্যায় দিন অতিক্রান্ত।
রাজর্ষিত্বে অতুষ্ট মন,
ক্রুদ্ধচিত্তে দেখে ত্রিশঙ্কুর পতন।
স্বীয় তপোবলে দক্ষিণে সৃষ্ট সপ্তর্ষিমণ্ডল,
ভীতচিত্তে কম্পিত স্বয়ং ইন্দ্র মন্ডল।
দক্ষিণ ছেড়ে যবে পশ্চিমে গেলে,
ঋচিকপুত্ররে পুত্ররূপে পেলে।
প্রতিবার স্বীয় তেজবলে,
ইন্দ্র মায়া রুখেছো তুমি আত্ম তপোবলে।
এবেলা বুঝি ধরা তুমি খেলে,
মায়াবিনী কোনো এক নারী মোহ ছলে।
স্নানরতা মেনকার মোহ রূপে ভুলে,
ইন্দ্রিয় জয় থেকে পিছে পড়ে গেলে।
একইরূপে রম্ভা তব কাছে এলে,
শাপবলে পাষাণের রূপ তারে দিলে।
প্রতিবার ক্রোধে তুমি ভয়ানক অন্ধ,
তপস্যার তপোঃফল বারবার বন্ধ।
তারপরও জয়ী তুমি, জয়ী তব ধ্যান,
ব্রাক্ষ্মণ্যত্ব প্রাপ্তিযোগে সাথে ক্ষত্রিয় জ্ঞান।
জীবন ব্যাপিয়া তব কঠোর তপস্যা,
সাধনার জলে শেষে মিটিলো পিপাসা।


কুশপুত্র বিশ্বামিত্র,
আরেকটি বার যদি উন্মুক্ত করো তব যজ্ঞপাত্র।
ইন্দ্র,মেনকা, রম্ভার মায়াজাল ভেদী,
সাধনার নিমিত্তে আরেকটি বার কি দেখাবে
তব তপস্যার যজ্ঞবেদি?