পৃথিবীতে আমি মানুষ দেখেছি
আহা রূপের কি বৈচিত্র্য
সাদা কালো, বেঁটে লম্বা, স্থূল আর ক্ষীণ
চর্মের বর্ণসম বহুরূপী তাহার হিয়া।
আমি স্বার্থপর জালিমের হাহা শুনেছি দুকর্নে
ভিখারি-দীনের আর্তনাদে ছাপিয়ে গেছে সে হাসি।
দেখেছি হাড্ডিসার মানব! যেন জীবন্ত কঙ্কাল।
দেখেছি মানুষ কুকুরের সাথে খায় এক পাতে
দেখেছি শত মুখের গ্রাস এক পেটে পুরে নিতে।
গুনেছি জ্যান্ত মানুষের পাঁজরের হাড়।
জীবন্ত লাশগুলো দেখেছি আমি।
বস্ত্রহীন-ভুখা ফাঁকা; করে অম্বর পানে আর্তনাদ।
অশ্রুসায়রে ডুবে মরে শত মানব।
সে লাশ পদদলিত করে ওপর মানবরূপী দানব।
স্বজাতির ঘাড়ে পা দিয়ে উঠে সমাজ মঞ্চে
করে শিক্ষার অপব্যবহার।
কলমের খোঁচায় ন্যায়কে বিকিয়ে আঙ্গুল ফুলে হয় কলাগাছ
নিঃস্ব থেকে ক্রমান্বয়ে বনে যায় মহারাজ।
অতঃপর প্রদর্শন করে বাহুবল
রিক্তের ক্ষুদ্র রাজ্যটুকু কেড়ে নিয়ে নিজ পরিসর বাড়ায়।
অন্যপ্রান্তে ভিখারি কাঁদে সুবিচারের আশায়।
কিন্তু হায়! আদালত আজি দখল করেছে স্বৈরাচার।
তবু নাহি মানে বাধা ক্ষুধিত মানবপ্রাণ
উচিয়ে খড়গ ছিন্ন করে জালিমের মুন্ডু।
যুগ যুগান্তর ধরে হচ্ছে এ গল্পের পুনরাবৃত্তি
ভূ-মঞ্চে প্রদর্শিত হচ্ছে জীবন নাট্য।
চলছে-চলবে ততদিন
যতদিন না মঞ্চ ভেঙে দিচ্ছেন মহা নাট্যকার!