- কতদিন পর চিঠির জবাব এলে!
বছর বছর পাঠানো চিঠি দেখনি একদিন মেলে?
কেন আকুতি বুকের তৃষা চিঠির অক্ষরে অক্ষরে
তোমাকে খোঁজে প্রতি লাইনে ভালোবাসি সুর ধরে,
বুঝনি একটুখানি----
- দেখতে যদি বুকের তৃষা ভঙ্গুর হৃদয়খানি
কতকাল যে চিঠিগুলো নিয়ে ভাসায়ে বুকের জমিন
নিষিদ্ধ ঝড়ে ভিজিয়ে শরীর রাত্রি করেছি দিন।
এমন করে কেন লেখ-----!
চিঠির গর্ভে কী ভরে দাও --- বলি, এমন কি তাতে দেখ?
- তোমাকে দেখি, বিশালতা দেখি ---- চিঠির বিশাল জমিন 'পরে
তোমাকে হাসাই নাচাই ভাসাই ভালোবাসা দেই ঠোঁট ভরে
তোমার সম্পত্তি,
লুটিয়া খাই চুষে চুষে খাই কালিতে আঁকি করোনা আপত্তি।
- তোমার লজ্জা আজও নাই
ভরা চিঠিতে মাতামাতি কর টেনে টেনে ছিঁড়ো আমি তো লজ্জা পাই,
ছাড়বে এবার, সত্যি?
নাকি, খেতে ঘুমুতে আমাকে ভুলিতে সেই একই আপত্তি?
- তবে তোমাকে দাও আমাকে নাও --- দু'জনে কিছু করি আজ বিনিময়
যেন শীতের কুয়াশা আর নরম ঘাসে লেপটে থাকে পরিচয়
ভালবাসার ফসিল,
গড়ায়ে গড়ায়ে ব্যস্ত জমিন আমাতেই করি দলিল।
- না ---- পাগলামি সেই আছে,
বিচার-টিচার সবই মান নজর ঠিকই তালগাছে।
তবে আরও চিঠি দাও --- জমিন উর্বর হলে
হয়তো আসব, না হয় তখন --- চষে চষে সেথায় ফসল ফলালে শক্ত লাঙলে।
১৯/০২/২০১৫, সিলেট।