সন্ধ্যা র বাতাসে দূরের অাকাশে নামে অন্ধকার,
কতো চিন্তা বিজলি দিয়ে উকিঁ দিচ্ছিল বুকে তোমার,
সবুজ পাতারা অাজ ধীরে ধীরে হলদে হয়ে যায়,
কতো কিছু ঝরে পড়ে মনের কিনারায়,
গ্রীষ্ম যায়, বসন্ত যায় নতুন পাতারা বাচেঁ অানন্দে,
ঝরে পড়ে মরে শীতের ঠিকানায়,
কুকুরের বাচ্চাগুলি বসে অাছে হা করে,
শালিক পাখি উড়ে চলে মাঠের দিগন্তরে,
মানবেরা জীবিকার অামৃত্যু সন্ধানে,
কেউ রূজি পায়, কেউবা হারায়,
প্রিয়বাহনে জ্বালানি খায়!,
দৌড়ে চলে এ পথ থেকে ঐ পথ রাত্রির বিছানায়,
চাঁদের বুড়ি সূতা কাটে, ঘোড়া দৌড়ায়!
ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভাসা ব্যাঙ্গ এক স্রোত শব্দে গায় গান,
ভালো লাগে গানের মালা, তোমার নির্বিকার বয়ান।
কবেকার কথা, কবেকার ব্যথা, কবেকার সুখে ভাবি কে কে?
চোখ বন্ধ হয়ে গেলে ঘুমে, পাখিরা পাখা ঝাপটাই,
ঘরে তাঁর বাতি জ্বলে, নিভে পৃথিবীর চক্রে,
মন তাঁর বিষন্ন হয় খসে পড়লে কামনার হার,
তাঁর দেয়ালের পাশে বাসা বাঁধে টিকটিকির সংসার,
কতগুলো কুকুরে বিষন্ন সূরে গান ধরে,
দুয়ারে চাঁদের অালো বাশবাগানে ঢাকা পড়ে,
পৃথিবীর পরে, তাঁর অালো নিভু নিভু,
ছুটে অাসছে মশাল হাতে কোন বাজপাখি,
বিকট শব্দে,
কথা বলে বলে, হৃদয়ের গভীর মায়াধ্বণি শুনি,
রাতের গভীরতা মায়াধ্বণিতে সরব করে,
এতো মায়া অফিসে বসেও নাচে শরীরের কিংকরধ্বণি,
ভোরবেলা শান্ত গভীর বাতাসে,
কন্ঠের অাবেশে নিঃ শ্বাসে প্রশ্বাসে,
অবিরাম অক্সিজেনের মতো,
ঘিরে রাখে মায়াব্রত,
কপালে চিক চিক ঘামের মতোন,
ঘিরে অাছে সব,
স্তুপ কাগজের ভীড়ে, তোমার নীড়ে,
বাসা বাধে ধীরে ধীরে,
রাত এতো বিষন্ন হবে জানতাম না,
মশারা ভো ভো অলস শব্দে,
নিঃশব্দতার মাঝে টিক টিক শব্দে,
সব লাগে অচেনা।
নিঃ সঙ্গ অামি, না,মোটেও না!
নিজের ভুলের সঙ্গে দোস্তি তে অাছি,
স্বপ্নের জানালা।।