আমার সমস্ত অনুভূতি দিয়ে
তোমার কাছ থেকে তো একটি
শব্দই চেয়েছিলাম?চাইনি কোনো
আলো ঝলমলে কিংবা মোমবাতির
আবছা আলোর ছদ্মবেশে স্বপ্নময়
একটি দীর্ঘকালীন রেশ রেখে যাওয়া
ডিনার। চাইনি শহরের সবচেয়ে অভিজাত
কোনো সিনেপ্লেক্সের আলিশান আসনে বসে
পপকর্ন আর কোমলপানীয়তে চুমুক দিতে
দিতে তোমার সাথে অখণ্ড এক অবসর সময়।


আমি চাইনি, রেললাইনের কাঁকরবিছানো ধার
বেয়ে তোমার প্রায় অচেনা হাত ধরে সমান্তরালে
হেঁটে যেতে সেই সীমাহীন ঠিকানায়, যেখানে আরব্য
কিংবা পারস্য রুপকথার তরুণ- তরুণীরা অলকা
ভেবে হারিয়ে যেত; যাদের কেউ কেউ হয়তো ফিরে
আসতে পারতো, আবার কেউ কেউ তা পারতো না।
আমি চাইনি, নিদাঘে বটমূলের ছায়াসঙ্গী হয়ে তোমাকে
ভালোবাসার অমর গান শোনাতে, কিংবা শত মাইল
বিস্তৃত কোনো খোলা মাঠের মাঝখানে শায়িত ঘাঁটবাঁধা
পৌরাণিক পুকুরের পাড়ে বসে তোমার সাথে খুনসুটিতে
মশগুল হতে।


আমি চাইনি, কোনো তুমুল জনপ্রিয় সিনেমার নায়ক
হয়ে তোমার বিপরীতে অভিনয় করতে। আমি চাইনি
সিনেমার স্ক্রিপ্টের সাজানো নায়ক হয়ে বখাটেদের
নির্লজ্জ আক্রমণ থেকে তোমাকে বাঁচাতে। কখনো
কোনদিন চাইনি তোমার কোমল স্পর্শের ছোঁয়ায়
বর্ণহীন এ জীবনে উদ্দীপনার জাগরণ সৃষ্টি করতে।
আমি চাইনি, তোমার লুকায়িত হৃদয়ের দেয়াল ফুঁড়ে
সেখানে একমুঠো দূর্লভ চাঁদের আলো ছড়িয়ে দিতে।


হ্যাঁ, শুধু একটিমাত্র বর্ণহীন ও স্বপ্নহীন শব্দ প্রার্থণা
করেছিলাম তোমার হৃদয় থেকে, যা কিনা আমাকে
একটি অভ্রান্ত এবং কালজয়ী প্রতীতি উপহার দিতে
পারে- না পাওয়াকে পাওয়ার, না দেখাকে দেখার,না
বলাকে বলার, না ভোলাকে ভোলার। আমি এখনও
প্রতিটি রাত নিদ্রাহীন কাটাই, প্রতিটি ক্ষণ অস্হিরতায়
হারাই, তুমি কবে আসবে? কখন বলবে?, 'ঘৃণা' এই ছোট্ট শব্দটি তোমার, শুধুই তোমার, শুধুই তোমার; হ্যাঁ, তোমার।