যেন একটা অসম্ভব হতাশার জাহাজে চেপে
পাড়ি দিচ্ছি বিচ্ছেদের অতল ও দীর্ঘ সমুদ্র,
কত দীর্ঘ দিবস, কত কালো রজনী নিমেষে
চলে গেল! তবুও পেলাম না ঢেউভাঙ্গা তীর।


নিজেকে বড়ই পাপী, বড়ই অভিশপ্ত মনে হয়,
মনে হয় আমি সেই বৃদ্ধ নাবিক- যার ধাতব
গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল
সৌভাগ্যের প্রতীক, নির্দোষ অ্যালবাট্রোস পাখি ।


আমি সেই হতভাগা পৌঢ় নাবিক,জীবন সমুদ্রে
যার পাহাড়সম অভিশাপ, আকাশসম উঁচু পাপ,
সেই অভিশাপ আর পাপ গলার মালা হয়ে যেন
ঝুলছে পৌঢ় নাবিকের ন্যায় আমার পাপী গলায়।


কত দীর্ঘ সেই বিচ্ছেদের সমুদ্র! কত ভারী সেই
অভিশাপের মালা! আমি ছাড়া জানে শুধু সেই
বৃদ্ধ নাবিক। কাকতালীয় এই যে, সেবার সেই বৃদ্ধ
বেঁচে ফিরেছিল, এবার ফিরলাম আমি, জীবন নিয়েই।


বাগানের ফুল হয়ে ফুঁটিনি, ফুঁটেছিলাম রাস্তার ধারে
তাতে কী? তুমি তো সুবাসিত হয়েছো, ভালোবেসে
জড়িয়েছো তোমার দীঘল কালো কুন্তলে, বিচ্ছেদের
গল্প ভুলিয়ে  টেনেছো তোমার অব্যর্থ মায়াজালে।