একদা ফাগুন বেলায় পোষ্য এলো বনে,
বন্দী দশা কতো করুণ বুঝিয়া লয় মনে।
ওড়ায়ে ডানা উড়ে বেড়ায়, ইচ্ছে জাগে খুব-
পারে যদি বিলের জলে বারেক দিতে ডুব।


হঠাৎ এক বন্য আসি ডেকে বলে, ওই-
ভাবনা রাখি বলো শুনি তুমি থাকো কই?
পোষ্য কহে- মায়ার গায়ে আছে ছোট্ট কুঁড়ে,
ও তুমি চিনবে না, সে অনেক দূরে।।


অল্প আলাপ গল্পে ভরি মিশে গেল দুয়ে,
বন্য কহে- চলো তবে ছুটবো তোমায় লয়ে।
পোষ্য ভাবে- বেলা বুঝি রহিল না আর,
আজ তবে থাকনা, আসবো অন্য বার।


বন্য কহে- চলো দুয়ে নেচে বেড়াই ডালে,
প্রাণ জড়াবে হাওয়া, ঢেউ খেলায়ে পালে।
সন্ধ্যা তারার আবছা আলোয় পথ খুঁজিব,
গাঢ় নীলের বসন পড়ি ভীন সাজিব।


পোষ্য কহে- ইচ্ছে হলেও সুযোগ তবে কই?
আমি তো তোমার মতো- এতো মুক্ত নই।
প্রাণ ভরিয়ে নিলেম যদি আপন রাখি পাছে,
আমি তায় দোষী হব গৃহ মায়ার কাছে।


তুমি উড়ো নীজ তিয়াসে রাখিবার কেউ নাই,
আপন ছাড়ি ধরতে পাড়ি প্রাণে ভয় পাই।
বন্য কহে- জ্যোৎসনা দিয়ে দুঃখ দিব লেপে,
দুয়ের কষ্ট সম হারে দুয়ে লইব মেপে।।


পোষ্য কহে- চোখ জুড়ালেও জুড়াবেনা প্রাণ ,
তুমি যাও ভাই, আছে মোর গৃহের টান।।