(৭)
তুফান লীলা গেছে থেমে আকাশ ভরা তারা।
সারা জগত ঘুমের কোলে মানিক গৃহ হারা।।
এপাশ ওপাশ খুজে মানিক কোথায় আছে বাঁশী।
বছর গেছে হয়নি দেখা সুরের গলায় ফাঁসি।।
বাঁশীটারে বুকের মাঝে কবর খানি খুঁড়ে।
জগত ভরা সারা আগুন হৃদয় তারি পুড়ে।।
মনটা ক্ষানিক শক্ত করে দিলো বাঁশীর সুর।
হাওয়ায় ভেসে মধ্য রাতে চলে অনেক দুর।।
পারে না আর মানিক মিয়া মুখে তাজা খুন।
সারা দেহে তুষের অনল বাড়ে অনেক গুন।।
পড়লো বাঁশী মাটির কোলে থেমে গেছে সুর।
পারণ পাখী ছাড়ল খাঁচা দুনিয়া মধুর।।
চারিপাশে পানিই পানি কেই বা দিবে মুখে।
দুখ তাতে কি প্রিয়ার পাশে আনন্দ তাই বুকে।।
আকাশ বাতাস কাঁদলো শোকে বনে বিহগ কুল।
গাছে গাছে ঝরলো পাতা ফুলের বনে ফুল।।


বাতায়নে একেলা মনি দেখল তুফান খেলা।
মনটা কোথায় হারিয়ে গেছে চড়ে হাওয়ার ভেলা।।
হঠাৎ কানে বাঁশীর ধ্বনি বড় চেনা সুর।
রাখার রাজা এমন সময়- হারিয়ে গেছে দুর।।
উঠলো মনি ছাদের পরে ঐ তো রাখাল রাজ।
কাটছে দিবস চোখের জলে কলঙ্কেরই তাজ।।
চাঁদের কিরণ সব দেখা যায়, হায় কি মুখে খুন।
এই তো সবে বাজল বাঁশী বীধি নিদারুণ।।

ছাদের থেকে ফসকে মনি পড়লো মাটির পর।
রাখাল রাজা জিবন সাথী প্রানেরি দোসর।।
নাকে মুখে রক্ত ধারা জীবন গতি শেষ।
হবে না আর মধুর মিলন কৃষাণ বধূর বেশ।।
আপনা খুনে হাত রাঙ্গালো ঠোঁট দুটিতে লালি।
সেই বাগিচার কদর কিবা না যদি হয় মালী।।
বুকের ভরে চলে মনি কণ্ঠে রাখাল রাজ।
তোমার দাসি বধূর বেশে নাই বা বরের সাজ।
দেখো দেখো প্রানের দোসর তোমার প্রেমের মালা।
যতন করে রাখছি তারে সয়ছি বড় জ্বালা।।
তোমার আমার মিলন প্রিয় যুগান্তরের আশা।।
হাতের সাথে হাত মিলাবে ফুরিয়ে গেছে ভাষা।।
মানব কুলে জানলো না কেউ হায় রে মধুর মিল।
সাক্ষি রল চাঁদ সেতারা দুরের আকাশ নীল।।


হায়রে পীরিত নিঠুর রে তুই, তোরই ছোবল বিষে।
ভবের মাঝে কত না প্রাণ গেছে ধুলায় মিশে।।
কেউ বা আবার পেয়েছে সব সোনালী সংসার।
তনু মনে স্বপ্নে ভরা রংধনুকের হার।।
আসলে প্রেম কোনটা তুমি কোথায় পাবো খোজ।
কেউ বা হাসে কেউ বা কাঁদে দেখছি যাহা রোজ।।


শেষ----- রেজা।।