জীবনে প্রথম স্বপনে যাহারে দেখেছি তাহার নাম।
ভুলে গেছি তবে স্মৃতিপটে মুখ ভেসে উঠে অবিরাম।।
মায়াবিনী চোখ কাজলের রেখা আলতা পরা সে পায়।
শাড়ীর আঁচল দুগ্ধ ধবল বাদাম তুলিছে নায়।।


ঘন কালি কেশ উতালী পবন উড়েছিল বারেবার।
বাঁকা ঠোঁটে তার তিলকে তিলক দেখেছিনু চমৎকার।।
হেসেছিল বারে হাতছানি তার ঘোমটা আড়ালে মুখ।
পাতালপুরিনী স্বপ্ন জাদীর শত জনমের সুখ।।


কখনো বা পাশে হঠাৎ দূরে আবার অনেক দুর।
কথায় ছিল যে মধু মাখা তান চিরল বাঁশীর সুর।।
নিশ্বাসে ছিল কোস্তরী ঘ্রাণ শরীরে মেহেক সুধা।
দুলহানী বেশ দেখেছিনু তারে আমার সে অনুরাধা।।


ক্ষনিক পরে চোখ খুলিতেই তখন দুপুর বেলা।
আম্রকানানে গাঁয়ের ছেলেরা ভাগিয়া ফিরিতে খেলা।।
এধার ওধার চাহিয়া দেখি তো না পাই ভাবিয়া কুল।
আসেনি বসন্ত কাননে তবুও কেমনে ফুটেছে ফুল।।