একদা কখনো আমিও ছিলাম বৃক্ষ ছায়া দার।
পাতা ও ফুলের সে কি অপরূপ ছিল তার সমোহার।।
প্রভাতি শীতল বয়ে সমীরণ ভেঙ্গে দিতো মোর ঘুম।
পাখী কুহুজন তনু মনে মোর দিয়ে যেতো কত চুম।।


যুগলে প্রেমীর, কথা আমানত হৃদয় আমারে ঠায়।
ক্লান্ত পথিক ক্ষনিকের ঘুম, পাতা বিছা বিছানায়।।
ডালে বসি এক উদাস পাখী, বাঁকি জীবনের খোজ।
কেহ না কেহ আসিত হেথায় দেখি্তাম তাহা রোজ।।


বরষা মুখর রিম ঝিমা ঝিম পাতায় পাতায় জল।
কুশুম কলির থোকা থোকা সাজ, ফুলদানি শতদল।।
পাতা ঝরা দিন, ব্যাথিত হৃদয় শুন্য শাখার জাল।
সুখের ইমেজ এই তো আশু বাসন্তে বাহারে কাল।।


এমনি চলিছে সকল ঋতু একে একে সব পার।
হঠাৎ করেই ভেঙ্গেছে সকল ভেঙ্গেছে অহংকার।।
ঋতুর পরে চলিছে ঋতু বসন্ত এসেছে বার।
নাই সে পা্তা কুশুম ও কলি দুখ ভরি আধিয়ার।।


আমি তো এখন পাতা ফুলে হীন, বেকার বৃক্ষ রাজ।
দোয়েল কোয়েল আসে না হেথা আসে না ঈগল বাজ।।
বাঁধে না বাসা শুকনা ডালে পাখীরা গায় না গীত।
বৃক্ষ রাজের নসীবে এমন হায় বীধাতার রীত।।


রয়েছি বাঁচিয়া এখন শুধুই স্মরণে অতীত পার।
একদা কখনো আমিও ছিলাম বৃক্ষ ছায়া দার।