যতই হয় রাত গভীর
চারদিক থমথমে নিথর, শান্ত নীড় ।
একাকী র্নিঘুম রাত
মিটিমিটি জোনাকীর সাথ,
রাতদুপুরে যে যার মত সবাই নি:সঙ্গ
চাঁদ তারাদের চলে রাতজুড়ে রঙ্গ ।
মাঝে মাঝে নিভে যায় চাঁদের উজ্জ্বল শিখা
আকাশটা ঢেকে দেয় অবাঞ্চিত কুহেলিকা ।
রাতের গভীরতা জানান দেয় দেয়াল ঘড়ির শব্দটা
নষ্ট কলের টিপ টিপ করে পানি পড়া বাড়িয়ে দেয়
শঙ্কাটা ।
টিকটিক টিপটিপ শব্দগুলো যেন নি:শ্বাসের মতই
উঠানামা করছে
একাকিত্বের এই প্রহরে কেমন নি:সঙ্গতায় গলা
শুকিয়ে আসছে ।
আঁধার যতই হোক না গভীর,
যতই হই না ভয়ে অস্থির;
তুমি আছ মনে, পাশে , আর ভাবনাতে
বেশ কেটে যায় নিঝুম নির্ঘুম ঘুমের রাতে ।
বারান্দার গ্রীলে গিয়ে দাঁড়াই
জোছনা ধরার প্রয়াসে বিফল হাত বাঁড়াই ।
তোমাকে এক মুঠো জোছনা দেব আজ
পড়িয়ে দিব মাথায় তোমার, কেমন হবে এ সাজ ?
অথবা!!!!!!
চাঁদের নিচে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের
খন্ড
শুভ্রতা তোমার হাতে দিব, নিবে কি? স্বপ্নটা কর
না লন্ডভন্ড!!
অথবা!!!!!
আকাশের নীহারিকা, কয়েকটি উজ্জ্বল তারা
তোমার ফতোয়ার বোতাম বানিয়ে দেব, দাওনা
একটু সাড়া ।
সবই অর্থহীন স্বপ্ন, আঁধারের পাতাঝরার মতই
সঙ্গী শুধু নীরবতা, কথা কয়ে যাই তার সাথে
কতই !!
ভুলে গেছ তুমি, দিয়েছ শুধুই অবসাদ
জীবন জুড়ে শুধুই যেন নীমের স্বাদ ।
ধীরে ধীরে প্রভাতের আলো জ্বলে
রাতের যবনিকায়
কাতর ক্রন্দন, সকল আশার কবর,
ছুঁই যেন বারবার আলেয়ার শিখায়