তোমারে নিয়া কবিতা লিখছিলাম
পাক্কা ৯৯ টা
ভাবছিলাম তোমারে পুরাপুরি নিজের কইরা
১০০ তম কবিতাটা লিখবো,
১০০ টা হওয়ার আগেই
তুৃমি চইলা গেলা
মন উঠলে ভালোবাসা তো
ঠিকই ফুরায় যায়।


তোমারে ভাইবা গান লিখছিলাম
তোমার প্রিয় প্রাইম নাম্বারের মতো
ঠিক ১৯ টা গান।
প্রাইম নাম্বার নিয়া তোমার পাগলামিটা
আমারেও ঠিকই স্পর্শ করছিলো,
১৯ থেকা ২৩ হইতো
আরও ৬ টা বাড়ায়া ২৯ ও হয়তো হইতো
সেই ২৯ এর সম্মানার্থে
তোমারে আজীবনের জন্য আপন করতাম
কিন্তু তুমি তো ২৩ পর্যন্তও থাকলা না!


বাড়ির পিছে গাছ লাগাইছিলাম তোমার জন্য
তোমার প্রিয় কাঠগোলাপের গাছ
আমি ভাবতাম, এই গাছের ফুল
তোমার নরম কানে গুঁইজা দিবো,
গাছের ছায়ার নিচে বইসা গল্প করবো
তোমার মুখের উপর ফুল আইসা পড়বে
আর আমি মুগ্ধ হইয়া আমার দুই ফুলরে দেখবো।
কিন্তু গাছে ফুল আসার আগেই
তুমি বাতাসে বিলীন হওয়া সুগন্ধের মতোই
স্মৃতিতে মিলায় গেলা।


আমি কল্পনা করতে থাকলাম তোমারে নিয়া
আর তুমি কল্পনার বাইরে যাইতে থাকলা
তুমি বাস্তবতা ছুঁইতে চাইতা
আর আমি স্বপ্নে তোমারে।
দোষটা তো আমারই
স্বপ্ন বাস্তবের কাছে হারে এটা জগতেরই নিয়ম।


আমিও ঠিক হারলাম
কিন্তু স্মৃতিতে তোমারে আগলায় রাখছি
৩৭ টা বসন্ত ধইরা!
এই ৩৭ ও কিন্তু প্রাইম নাম্বার
মজার বিষয় দেখছো,
তোমার প্রাইম নাম্বার কিন্তু আমারে ছাড়ে নাই
তোমার কাঠগোলাপ আমারে ছাড়ে নাই
মাঝরাতে গানের ইচ্ছা আমারে ছাড়ে নাই
রাতদুপুর চায়ের নেশা ছাড়ে নাই
এই ১০০ তম কবিতাটা লেইখা বুঝলাম,
তোমার কোনো কিছুই আমারে ছাড়ে নাই
তাইলে তুমি কেমনে আমারে ছাড়তে পারলা?