নদীর দেশ বাংলাদেশ,
ভাঁটিরদেশ বাংলাদেশ।
তাইতো বলে নদী মাতৃক বাংলাদেশ।
এই নদীতে পাল্লা দিয়ে ছোটে নৌকার পাল।
এই নদীতে গোসল করে শিশু কিশোরের দল।
এই নদীতে মাছ ধরে লক্ষ  জেলে ভাই
তাইতো আমরা ভাতের সাথে মাছ খেতে পাই।
মাছে ভাতে বাঙ্গালীর আজ খুবই করুন দশা
নদীতে যে বাধঁ দিয়ে করছে সর্বনাশা।
হারিয়ে যাচ্ছে মাছের প্রজাতি।
হারিয়ে যাচ্ছে  নদ - নদীর নাব্যতা।
নদ- নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনো
যোগাযোগের মাধ্যম চালু কর ,
সৃষ্ট হবে নাকো জানজট।
জন-মানবের অসচেতনতায়
ভরাট হচ্ছে সব নদী নালা ভাই।
তাইতো দেখি বর্ষা এলে বৃষ্টি এলে
মরা নদীও  জেগে উঠে সৃষ্টি হয় বন্যার।
কারণতো একটাই ভরাট হয়ে গেছে নদী
হারিয়ে ফেলেছে নাব্যতা।
আয়তন কমে গেছে তার
তার বুকেতে কেমনে রাখব এত পানি।
তার বুক থেকে সরিয়ে ফেলে পানি।
আর তক্ষুনি সৃষ্টি হয় বন্যার।
বন্যার কারনে দু:খে কষ্টে  উঠে ভরে
নদীর পাড়ের মানুষ গুলোর।
দু:খী ওই মা - বোনদের বাড়ি ঘর সব
বন্যার পানিতে ভরে।
পদ্মা মেঘনা যমুনা নিজ গতিতে চলে।
নদীর বুকে ঈর্ষা জাগে কে যেন ভাই বলল?
কোন মূর্খ নিজের স্বার্থে নদীর সম্পদ তুলল।
সে যেন তার বিবেক ভূলে দেশকে ধোকা দিল।
নদী তোমায় নিয়ে কবিতা লিখেছেন কত কবি।
তাদের ভাষায় তুমি হলে শৈবালিনী।
জেনে শুনে যে নদীর বুকে ফেলল ময়লা আর্বজনা ।
সে তো হলো দেশের শত্রু” দশের শত্রু”
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অভিশাপ ।
আন্দোলন করে নয় , পুলিশ সেনাবাহিনী দিয়ে নয়,
গন সচেতনতা সৃষ্টি কর,
নদী নালা খাল বিল রক্ষা কর।
নদীভরাট, পানি দূষন বন্ধ কর
নতুন প্রজন্মকে রক্ষা কর।
বিপন্ন এই নদী গুলোর পূর্নবাসন চাই।
নইলে শেষে দেখব দেশে অনেক নদীই নাই।
গর্ব করি মোদের দেশ
নদী মাতৃক বাংলাদেশ।
হারিয়ে যাওয়া রোধ কল্পে
বাড়াও সবাই হাত।