দুরন্ত পাখার ঘূর্ণিপাকের হাজার আর্ত চিতকার,
বিষন্নতার রব তুলিয়া কহে, "ইহার বিহিত দরকার।
সময়ের সাথে নিপীড়ন আর অত্যাচারের শীকার,
আজি যেন সব হারায়ে ফেলিয়াছি, সহ্য শক্তি সহিবার।"
আলো আসিয়া কাঁদিয়া কহিল,"শুনিছো বন্ধুবর,
ভাষা নাহি যেথা প্রতিবাদের, কিভাবে তুলিব স্বর।
সারাদিন কভু মেলেনা বিশ্রাম, জাগিয়াছি রাতভর,
পিশাচের ন্যায় রক্ত চুষিছে, কেহ তো রাখেনা খবর।"
টকটকে লাল শিখার তরে আমি শুধু ছুটি পায়,
জ্বলনে জ্বলিয়া পুরিতে পুরিতে নাইক্রোম আসিয়া গায়।
"হিমেল হাওয়ায় গুটিসুটি সব, কাঁথার আড়ালে লুকায়,
সারা রাত্রী জাগি, সুখ দিয়া থাকি, নিজের পাঁজর জ্বালায়।"


অবশেষে সেই ছুটির আসরে, সবার সর্বনাশ
কেন এত ছুটি, হইয়া যায় ত্রুটি, বিপদ  পূর্বাভাস।
কাঁদিতে কাঁদিতে থামিয়া যাইলে রোগ করিবে গ্রাস,
দূর্দশাগ্রস্থ কঠিন জীবন, যেন এক জীবন্ত লাশ।