দেখেছি তোমাকে শ্রাবণে
যখন শহরের মাথার উপর ঝুলে ছিলো মেঘের ঘুমঘর,
আর কাঁচভেজা ট্রাফিক বাতির নিচে দাঁড়িয়ে ছিলে তুমি,
ঠিক যেনো কোনো অপেক্ষার ভেতর জন্ম নেওয়া প্রার্থনা।

তোমার চুল ভিজে যাচ্ছিল
একটি অসমাপ্ত কবিতার মতো,
যার প্রতিটি পঙ্‌ক্তিতে আমি খুঁজেছি নিজেকে
আর বারবার হারিয়ে গেছি তোমার চোখের নিঃশব্দে।

তুমি কিছু বলোনি
তবু সে নীরবতাও ছিলো একটি ভাষা,
যেখানে হঠাৎ হঠাৎ বেজে উঠছিল
কোনো অচেনা প্রেমের নীচু সুর,
যেমন করে একটা পাখি হারায় তার দিগন্ত,
তেমন করে আমি তোমার অভ্যন্তরে হারালাম।

তুমি জানালে না
তুমি ভালোবাসো কি না,
তবুও আমি জেনে গেছি
তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে উঠে আসা নিঃশ্বাসে
একটি অচেনা নাম
যা আমারই ছিল,
তোমার বলা হয়নি কখনো।

আমার প্রতিটি সকাল আজও শুরু হয়
তোমার সেই শ্রাবণদুপুরের ছায়ায় দাঁড়িয়ে,
যেখানে বৃষ্টি ছিল, নীরবতা ছিল,
আর ছিল এক চিরকালীন ভালোবাসা
যা কোনো অক্ষরে লেখা যায় না,
তবু হৃদয়ের দেওয়ালে আজীবন লেখা থাকে।

তুমি আসো না,
তবু শ্রাবণ এলেই আমি শুনি
তোমার পদধ্বনি ভেসে আসে ভেজা বাতাসে,
তোমার চোখে আটকে থাকা বৃষ্টির ফোঁটারা
আমার ঘুমহীন রাতগুলোর প্রহর গোনে।

তুমি নেই, তবু আছো
যেমন ভালোবাসা হারায় না,
শুধু রূপ পাল্টায়...
একটি চিরস্থায়ী অনুপস্থিতিতে।