প্রতি সন্ধ্যায় নেমে আসে ধূসর মেঘের পর্দা,  
আকাশে জাগে বিষণ্ণ নীল,
বাতাসে লুকোনো চিঠির সুরভি।  
জানালার কাচে টুপটাপ বৃষ্টি,  
তোমার নাম যেন ছন্দে ছন্দে ঝরে
নীরবতার ভাষায় বোনা অলিখিত সংলাপ।  

ভেজা ইটের পথে হেঁটে চলি শহরের বুকে,  
একটানা পদচিহ্নে ভেসে যায় দিনের অবসান।  
ল্যাম্পপোস্ট জ্বলে ওঠে ক্ষীণ আবেগে,  
আমার ছায়া লম্বা হয়ে দাঁড়ায় একা
আর তার পাশে, ছায়ার ছায়ায়,  
তুমি, শুধু তুমি
অনুভূতির অলীক বৃষ্টি হয়ে ঝরে।  

এ কি তবে ভালোবাসা?  
যেখানে স্পর্শ ছাড়াই তুমি স্পর্শ করো,  
যেখানে প্রতিধ্বনি নয়,  
কেবল নীরব সুর বাজে হৃদয়ের গভীরে।  

সন্ধ্যার রাগে জেগে ওঠে তোমার নিঃশব্দ উপস্থিতি
দোলনচাঁপার সুবাসের মতো,  
যে মিশে থাকে বৃষ্টির ফোঁটার অলঙ্কারে।  

আমি লিখি তোমার নাম,  
পৃথিবীর প্রতি শব্দের ফাঁকে ফাঁকে,  
আমার কলম ঝলকে ওঠে বিদ্যুতের তরঙ্গে
তোমাকে হারানোর ছন্দে।  

এ এক রহস্যময় প্রেমের বৃষ্টি,  
যার প্রতি ফোঁটা গড়ে তোলে অদৃশ্য মন্দির,  
যেখানে আরাধ্য শুধু তুমি
তুমি, একমাত্র তুমি।  

তুমি আসো না, তবু ফিরে ফিরে আসো,  
ভিজে পত্রের মতো মনের ক্যানভাসে।  
তোমার নামে ঝরে বৃষ্টি,  
তোমার নামে গায় সন্ধ্যা সংগীত,  
তোমার নামে বাজে হৃদয়ে ছন্দ
ব্যাকুলতা ও বন্দনার অপূর্ব মিলন।  

আর আমি,  
প্রতি সন্ধ্যায় ভিজি  
তোমার নামের শুদ্ধতম বৃষ্টিতে।