চ্যাপ্টার-৬
দেখতে দেখতে পাঁচটি বছর কেটে যায় আমার,
শত চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছি নরক হতে নিস্তার,
আশা যখন ছেড়ে দিয়েছি পালাবো না আর,
সেই সময় দিলো ধরা বিকল্পের হাতিয়ার।


ক্লাইন্ডের সাথে বের হই করি লং জার্নি,
নেশাগ্রস্ত কারনে দুর্ঘটনা পড়ে আমাদের গাড়িখানি,
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস চোখে দেখছিলাম সরিষের ছানি,
হারিয়ে ফেলি জ্ঞান বন্ধ হয়ে যায় চোখের ছাউনি।


সেই এসিডেন্টের কথা হয়ে যায় চারদিকে প্রকাশ,
লোকজন পাঠায় হাসপাতালে সাথে প্রিয়জনের লাশ,
আমার সাথের লোক মারা গেছে মাথায় ঢুকে গ্লাস,
বিধি আমায় বেঁচে রেখেছে বানাবে নতুন ইতিহাস।


আসি এখন মূল কাহিনি দুদিন বাদে ফিরে আমার জ্ঞান,
রক্তক্ষরণে শরীর দুর্বল হয়ে চলে যাচ্ছিল আমার প্রাণ,
অন্য এক মহিলা করে আমায় প্রচুর রক্ত দান,
এখন আমি সুস্থ আছি বের হতে মনে করছে আনচান।


একটু পর ডাক্তার আসলো করতে আমায় চেক আপ,
আরো দুদিন থাকতে হবে জানিয়ে দিলেন সাফ,
যাওয়া সময় বার বার চাচ্ছিল ক্ষমার চাওয়ার মাফ,
মনের অজান্তে করে ফেলেছে মস্ত বড় পাপ।


কি করেছেন আমার সাথে, করেছেন কি দেহ ভোগ,
আমার অবচেতনে নিয়েছেন কি তার সুযোগ,
আমি একজন প্রস্টিটিউট আমায় নেই কোন দুঃখ,
আপনি যে তৃপ্তি পেয়েছেন সেটা আমার বড় সুখ।


আমরা ডাক্তার করি না এসব বাজে কাজ,
যারা এসব করে রইল তাদের প্রতি তীব্র লাজ,
তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হয়েছে ভুল কাজ,
সেই কাজে ক্ষমা চাচ্ছি এই অধম মিনরাজ।


রক্ত ক্ষরণে আপনের শরীর হয়েছিল অত্যন্ত দুর্বল,
এক ঘণ্টা সময় ছিল করতে আপনে কে সুস্থ সবল,
ব্লাড না থাকায় এক মহিলা কাছ থেকে নিয়েছি তিন বোতল,
পরে যখন ব্লাড রিপোর্ট আসে দেখি ব্লাডের ছিল ভাইরাসের দল।


কি ছিল সে ভাইরাস কিসে তার রোধ,
বাঁচব নাকি মরব করব কিভাবে তার প্রতিরোধ,
এসব নিয়ে ভাবি না আর মরে গেছে জীবনবোধ,
নরকের বাসী আমি বলছে আমার বিবেকবোধ।


এইডস ভাইরাস আপনার রক্তে প্রাথমিক অবস্থায়,
শ্রীর্ঘ সেটা ছড়িয়ে যাবে সময় বেশি আর নাই,
আমার দ্বারা হয়েছে ভুল কিভাবে তার ক্ষমা চাই?
জীবন বাঁচাতে গিয়ে ফেলে ফেলে দিলো এই ডাক্তার কসাই।


ক্ষমা চাওয়া দরকার নেই করেছেন বড় উপকার,
এ দোযখ থেকে নিস্তার পাব দুঃখ পাব না আর,
জন্ম থেকে জ্বলছি আমি দিলো না বিধি নিস্তার,
সেই সুযোগ দিলো করে ভাইরাসের নামক হাতিয়ার।