চ্যাপ্টার -৩
ক্লাস শেষে পরে দিন গেলাম যথা সময় নিয়া,
আমার জন্য আছে বসে পাপন ভাজা নিয়া।
আমায় দেখে এক প্যাকেট দিলো সে বাড়িয়া,
খেতে খেতে শুনতে থাকি তার কষ্টের মুনিয়া।


চাকরি করতে করতে হয়ে যায় একজনের ক্রাশ,
তিন মাস পর সুপারভাইজার হতে চায় আমার খাস।
রিজেক্ট করে দিই আমি পেতে চাই না ধোকার বাস,
সুখ আমার সহ্য হয় না দিতে চাই না কেউকে সর্বনাশ।


ছয় মাসে থাকতে পারলাম না সুপারভাইজার জ্বালায়,
আমাকে নাকি বিয়ে করবে জোর করে জানায়।
দু-তিন জনের সুপারিশে রাজি করে আমায়,
ভাল এক দিনে আমাদের বিয়েটা হয়ে যায়।


তিন মাস মত ভালই চলছিল আমাদের সংসার,
এক দিনে বিনা কারনে আমার উপর চালায় প্রহার।
ঐদিন রাগে চলে যায় আর বন্ধ হয়ে যায় দুজনের আহার।
সকাল হল চিন্তা করতে করতে বাসি হল দুজনের খাবার।


এক,দু-তিন দিন চলে যায় আসে না স্বামী বাসায়,
চাকরির করে যেখানে তার সম্পর্কে জিগায়।
এক মাস হল চাকরি ছেড়ে দিয়েছে সবাই এসে জানায়।
যারা ছিল সাক্ষী  তারাও জানে না কিছু বলে আমায়।


অনেকে বলে দেশে চলে গেছে আসবে না আর এখানে,
ঠিকানা নিয়ে তুমিও চলে যাও স্বামীর জন্মস্থানে।
পরে দিন এক বান্ধবী নিয়া গেলাম ঐখানে,
এই নামে কেউ থাকে না জানায় এলাকার চেয়ারম্যানে।


শহরে এসে জিডি করি পুলিশ থানা এসে,
দুদিন পর তাদের তথ্য শুনে অবাক হয় শেষে।
ফেক কাবিন দিয়ে করে আমায় বিয়ে ছদ্মবেশে,
ট্র্যাকিং এ ধরে ফেলে জেলে পাঠায় অবশেষে।


মনে মনে হাসি আমি বিধি খেলছে কোন খেলা,
সুখ ধরা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে করে আমায় অবহেলা।
প্রতি ধাপে দেখতে পাচ্ছি কষ্টের নিষ্ঠুর মেলা,
আমিও নিলাম মেনে দেখি আসে আবার কোন ভেলা।
১৪/০৮/২০২২
----------চলবে