গাছ গাছালিতে ঘেরা
সবুজে সবুজে ভরা
পাখ পাখালির ডাকে
ঘুম যে মোদের ভাঙে
পাহার পর্বত আছে অনেক
ঝর্না ধারাও আছে
নদীনালা,খাল,বিল ও আছে
বাংলা মায়ের কাছে ।
বিলে থাকে পদ্ম ফুটে
বন্দতরণীর হাসি ঠোটে
কৃষক থাকে আনন্দে মেতে
সাদা রয় ফসলের খেতে ।
পল্লীবধূ নতুন ধানের রাঁধেন নানান পিঠা
কিশোরীরা নানা ফুল পরে ফেলে দেয় তার ডাটা
হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ আছে আছে নানন জন
বাংলা মা যে অনেক ভাল ভরায় সবার মন।
মিলেমিশে সবাই একসাথে থাকে
বাংলা মা যে আপন করে বুকে জড়িয়ে রাখে ।
উৎসব আনন্দে মেতে উঠে সবাই
পুজা পার্বণ আছে,রয়েছে ঈদ ও ভাই ।
কর্মব্যাস্ততার পর যখন রাত্রি এসে ডাকে
বাংলা মায়ের কোলে ঘুমাতে বড়ই শান্তি লাগে ।
হটাত একদিন বাংলা মাকে করল রাক্ষুসী হানা
দলবল নিয়ে ঘিরে ফেলে যায়নি তখন জানা
শান্তির এই মায়ের কোলে অশান্তি দিল ডাক
বহু নবীনের জীবন যে এল হাজারো ঘূর্ণিপাক ।
শান্তি প্রিয় মানুষ গুলো শান্তি পায়না খুজে
বিপদগ্রস্ত হয়ে তারা  তসবি পরে চোখ বুজে ।


হটাত তারা আল দেখতে পেল
তাদের মাথায় জ্ঞান এল


বাংলা মাকে রক্ষা করতে দিল জনতা সাড়া
জীবনটাকে বিলিয়ে দিয়েছে মায়ের ছেলে যারা
শত আঘাত বুকে নিয়ে মুক্ত করল মাকে
তাড়িয়েছে সেই ভয়ঙ্কর রাক্ষুসী কে তরুণদল ঝাকে ঝাকে ।
মায়ের সম্মান রক্ষা করতে জীবন করেছে দান
তাদের এই স্মৃতিকথা হবেনা কভু অম্লান ।
কখনো যেন তাদের কথা ভুলে যেওনা জনতা
তাদের ছিল একটাই বানি বাংলা আমার মা ।