গদ‍্যকবিতা


বয়সটা সত্তর ছুঁই ছুঁই
শরীরের ত্বকে খাঁজ কাটা ভাঁজে রক্ত কবে যে অন্তঃসারশূন‍্য তা আজ অনুভব করছি।
কলের ঘানি টানতে টানতে নিজের প্রতি শারীরিক পরিচর্যার সময়ে পেরে ওঠিনি,
খসখসে ফ‍্যাকাসে টান ধরেছে,
দেয়ালে যেমনটা নোনা ধরে খসে পরে ঠিক তেমনটা রক্ত থেকে ত্বক খসে পড়ছে;
সম্পর্কের টান কিন্তু খসে পড়েনি
যেমনটা মেরুদন্ড বেঁকে যায় তেমন কিন্তু সম্পর্ক  বেঁকে যাচ্ছে কিছু চাওয়া পাওয়ার স্বার্থের কারণে।।
আর আমার হৃদয়ের দহন ধিকি ধিকি করে কুন্ডলিতে গড়িয়ে পড়ছে।।
বেলা গড়িয়ে যেমন সন্ধ্যা নামে তেমনিভাবে রক্তের কিছু   সম্পর্ক আজীবন খত করে রাখে না পারি বলতে না পারি সহ‍্য করতে
অবিচ্ছেদ‍্যের মত কিছু রক্ত দিনরাত কাঁদায়!
সকলের মুখে শুনি এ নাকি পূর্ব জন্মের দহন
নয়তো এ জন্মে তো আমি কোন অন‍্যায় করিনি,
তবে কেন এতো দহন হবে?
সদাচারী সবর্দা প্রাঞ্জলভাষী কপটধারীহীন হওয়া সত্ত্বেও কেন বিবেকদংশনে বারংবার খতবিক্ষত হচ্ছে হৃদয় ;
শরীর থেকে রক্ত ঝরলে যেমনটা শরীরে নমনীয় নিস্তেজ হয়ে পড়ে
ঠিক তেমনি ভাবে রক্তের মত ব‍্যাথা দিচ্ছে কার ও অসুস্থ হওয়া কিংবা অসুখীর গল্প শুনে..
সহ‍্য শক্তি ক্ষীণ হয়ে আসছে ধীরে ধীরে,
চোখের ধারণকৃত শক্তি ঝাপসা জোনাকি পোকার মত দেখাচ্ছে
পক্ককেশে নিজেকে আয়নার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করি বারংবার কেন রক্ত কাঁদায়?
কেন নিজের শক্তিক্ষীণের মত বাঁধাশক্তির মত অকারণে থাকি?
কেন বিকারগ্রস্ত মানুষের মত রক্ত অকার্যকর থাকে?
দহন প্রাপ‍্য ছিল বলেই, র্নিবাক থাকে বিবেক...
জীবনের শেষ লগ্নে কিছু প্রশ্ন আজ শুধুই প্রশ্ন থেকে যায়,
অধরা দহন শুধুই ব‍্যাথিত করে হৃদয়ে
এ দহন চিতার তরে ভস্মীভূত হবে
তবেই মুক্তি...।।