(এমন ভাবে দৈনতার অভিশাপে কত প্রাণ
চলে যায়। কজন আর সেই খবর রাখি? শুধু দুটো
ভাত, তাও জোটেনা। অবশেষে সেটা পেতেই মন্দ
কাজে প্রাণ যায় ‘ওদের’। ছড়াটা কিন্তু একেবারেই
রসহীন,তবু পড়বেন বন্ধুরা)
একটা ছিল কিশোর বালক
মনটা ছিল হংস পালক
বাসত ভালো সমস্ত লোক
অবুঝ মনে ছিলনা শোক।
দিন কাটত গান গেয়ে
দয়া দানের খাবার খেয়ে
থাকত রাতে মাটিতে শুয়ে
পথের কুকুর বুকে জড়িয়ে।
মা পরিচারিকার কাজে করে
বাবা পকোড়া ভাজে বাজারে
কিশোর শুধু বায়না ধরে
অভাবে মা-বাপ কেঁদে মরে।
ঈদে নতুনজামা চেয়ে কাঁদে
প্রলোভনে পড়ে জটিল ফাঁদে
নষ্ট-কদাকার জীবন বাঁধে...
জঙ্গিদোষ নেয় নিজের কাঁধে।
জেলে উকিলকে শোনায় গান
রোজ জানায় কায়েদিদের সেলাম
বুদ্ধিজীবীদের চোখে করুণার বান
তবু বাঁচলনা কিশোরের প্রাণ।
উচ্চবিত্তরা বাঁচে দুনিয়ায় মাঝে
দরিদ্র মরে অকাজে কুকাজে
জগৎ কবার তাঁদের খোঁজে??
কবির কলম চলে, থামেনাযে!!