হ্যাঁ, আমরা দুজনে সমাজ পরিয়ার পরিজন
ছেড়ে একদিন এই পাহাড়ি গাঁয়ে চলে এসেছিলাম।
আমি অনুপ্রেরণা বিহীন বিষাদ মনে মরতে চ্যেছিলাম;
আমার প্রেমিকই সেদিন একমাত্র সাহারা বা অবলম্বন
ছিল আমার স্বজনহীন ব্যথার জীবনে...
অনেক ক্লান্তিময় কুটিল কঠিন তিমির রজনী পেরিয়ে
আজ দুজনে ছোট্ট এক নীড় বেঁধেছি কুসুমিয়াগাঁয়ে।
যেদিন গরল খায়িয়ে মারতে চেয়েছিল চটুল সমাজ,
আজ সেই গরলের পরিবর্তে অমৃত পান করি
দুজনে রোজ............  
অমৃতের সাক্ষী স্বরূপ আমাদের মাঝখানে
অনন্তের হাসি দেখায় এক দেবশিশু...
প্রেম মহান হয় তখনই, যখন প্রেমিক প্রেমিকা
একসাথে সব বাধা এড়িয়ে হাতে হাত ধরতে পারে বেঁচে থেকে
‘প্রেমকে চিরজীবী’করার দৃঢ় প্রত্যয়ে...
আমরা দুজনে হাসি, গান গাই, পরমেশ্বরকে ডাকি;
কোলে শিশুকে নিয়ে রাতের ঝর্নাধারার তারা গুনি
চাঁদের হাসিতে পাগল হই...  
আর! আর মিলনে বিভোর থাকি.........  


(কাগজের পুরনো একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে
এই কবিতাটি লিখলাম। আজ এমনই এক ঘটনা টিভিতেও পুনরায় দেখলাম)