সারা জীবন ধুঁকতে ধুঁকতে আজ এক
ক্লান্তির হিম ঘরে বদ্ধ পাগল-কবি;
অনেক বসন্ত চলে গেছে অজ্ঞানে বা স্বজ্ঞানে,
চাতুরী খলতা শিখতে পারেনি, এটাই দুর্ভাগ্য তার;
কেউ কবির থেকে শ্রুত জ্ঞানটাই কবিকে শুনিয়ে যায়
কেউ ক্রূর-মৌনতায় আপাদমস্তক চোখে মেপে যায়...
একা রক্ত ঝরাতে হয় কিকরে! কবি জানতে চায়  
হতভাগ্য কর্ম তার! যাচনা এক, প্রাপ্তি আরএক;  
বলিরাজার মত সে-ও মর্ত্য চেয়েছিল শিক্ষিতর সমন্বয়ে;
স্বর্গ চায়নি হাজার অজ্ঞানীর কর্কশ-কোলাহলের পূর্ণতায়;  
আজ সেই অজ্ঞানীদের নিয়েই কবির পূর্ণাঙ্গ জীবনের
কয়েকটি ধাপ কেটে গেল......


বন্ধু বলতে পারো মুক্তি কোথায়?
বলতে পারো সামবেদীয় ঋষিরা কোথায়?
কবিদের বাস কোথায়?  
বন্ধু, মরমী দুঃখী কবিকে ভুলোনা...


(বলি রাজা ছিলেন পুরাণ অনুশারে বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদের পৌত্র।  তাঁর দানে, জ্ঞানে ছিল বড় অহংকার। তাঁকে বিষ্ণুদেবতা  পরীক্ষা করতে আসলেন বামন অবতারের রূপ নিয়ে। বলিরাজাকে তিনি বিতর্কে পরাস্ত করলেন এবং বললেন, ‘যদি স্বর্গে যাও, দুহাজার অশিক্ষিত লোক পাবে। আর যদি পাতালে যাও দশজন জ্ঞানী লোক পাবে’। রাজা প্রচণ্ড জ্ঞানী ছিলেন, তিনি বললেন, ‘প্রভু অশিক্ষিত লোক নিয়ে স্বর্গবাস করার থেকে,মাত্র দশজন শিক্ষিত লোক নিয়ে পাতাল-বাসই শ্রেয়’। ভগবান বিষ্ণু অতীব সন্তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ করে বিদায় নিলেন)