আমি জীবনানন্দের মতো হাজার বছর ধরে পথ হাঁটিনি
হাঁটার পথ মাত্র কিছু বছর।
পচিশ বছরের পথ অতীব দুর্গম
সেখানে একবারও পাইনি নাটোরের বনলতা সেনকে
সে আসেনি কখনও দু-দণ্ড শান্তি দিতে।  
দিয়েছিল পথ পরিশ্রান্তকে এক মুঠো ভালবাসা
আর আশ্বাসের বার্তা, সে কে?
নামটা তাঁর সকলেরই অজানা। কি যে নাম
আমিও জানিনা, জানিনা তাঁর ঠিকানা।    
মহাশূন্যের দিকে ঘাড় ঘোরালে দেখা যেত তাঁকে
ডান হাত প্রসারিত; মুখেও শোনা যেত ‘ভালো আছো?
ভালো থেকো সব সময় --- ‘
আর তাঁর দেখা পাইনি কোনদিনও ।
আজ নিজের চেনা লড়াইয়ের পথটাও যেন
এক গোলকধাঁধার পৃথিবী; চেনা লোককেও
অচেনা লাগে বারবার । কি জানি কেন!  
তাই আমিও পথ হেঁটে বেড়াই রূপসী বাংলায়-  
যে চেনারা অচেনা হয়ে গেছে; তাদের আরও
ভালো করে চিনে নিতে । রূপসী কবির
বনলতা সেন আজ আর নেই, সেও ক্লান্ত পীড়িত
এই মরু পৃথিবীর পথ হেঁটে হেঁটে ।