ঘনো মেঘে ছেয়ে আছে আকাশ
দুটি পেঁচা ডানা ঝাপটে চলে গেল--
খোলা মাঠ;বেশ লোকের আয়োজন,।  সারিবদ্ধ চেয়ারে অপেক্ষারত দর্শক বৃন্দ--
সোনাক্ষী গাইতে লাগলো, "হে নূতন দেখা দিক আরবার,জন্মের প্রথম শুভক্ষণ---"
ভানুসিংহর পদাবলী তে তমালী নেচে উঠল,
"সজনী সজনী রাধিকা লো দেখ অবহু চাহিয়া,মৃদুল গমন শ্যাম আয়ে---"
ছোট ছোট পায়ে ভারতনাট্টম চলছিল--


হঠাৎ ভীষণ মেঘের গর্জণ, সাথে দোর্দণ্ড প্রতাপী বাতাস; দাঁড়াতে চাইলেন সভাপতি মলয়বাবু,এক ধাক্কায় ফেলে দিল তাকে রবীন্দ্র-ঝড়; তবু লাউডস্পিকার হাতে তিনি বললেন,"সবাই চেয়ার শক্ত করে বসে থাকুন, উঠবেন না কেউ---"
তমালী ভয়ে দৌড়ে আসছিল মায়ের কাছে,
ধূলো তে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা,
মা-ও ডাকল হাত বাড়িয়ে, "তমালী-----"


ঝড় থেমে গেল সব উল্টে দিয়ে, কিন্তু রবীন্দ্র ছবি ঝকঝকে উজ্জ্বল চেয়ারের উপর,
দর্শকরা ধূলো মেখে বসে চেয়ারে,
কিন্তু তমালী!!!
না, কোত্থাও নেই সেই শিশু---
শুধু এক মায়ের আর্তনাদ উচ্চস্বরে তরঙ্গায়িত,' তমালী--- তমালী----"
হতবাক দর্শক আর পরিচালক বৃন্দ---


(পুরনো ডায়েরি এবং অএপার ঘাঁটা আমার স্বভাব। দুবছর আগের বর্তমান পেপারে ঘটনা টি কদিন আগে পড়েছিলাম। তমালী কে পাওয়া গেছিল স্টেজের পিছনে মৃত অবস্থায়। রবীন্দ্রনাথ জীবনে মরণে উত্থানে পতনে)