জনগনের অন্ধ রাজা
   আমি প্রজা তুচ্ছ,
নারী আমি অবলা আজও
   ভারত কি আধুনিক স্বচ্ছ?


তোমার ঘরের লজ্জা আমি
   দিনও রাতে বেচো,
আগে তোমার দলের কদর
   ন্যায়টা আড়ালে সেঁচো...


নাই হলাম তোমার কেহ
   নাইবা থাকুক বল,
আমরা ছাড়া এ দুনিয়ায়
   তোমরা যে অচল।


মণিপুর বা রাজস্থান
   পাঞ্জাব কি বাংলা,
যুদ্ধে তবে কি ইজ্জত ছুঁবে
   এমনি তোমরা জংলা!


শাস্তিতে মোর লজ্জা কাড়ে
   দেশ মাতা কাঁদে,
বিচারে তুমি অন্ধ রাজা
   ষরযন্ত্রীরা কাঁধে।


পঁচাত্তরের স্বাধীনতার
   বিশ্লেষনে হায়,
দেশের ক্ষতে রক্ত ক্ষরণ
   চাপা দিয়ে যায়।


সভ্যতার লাশ যতই তুমি
   আড়াল করো খাদে,
দিনে কিংবা আড়াই মাসেও
   দুর্গন্ধে তুমি ফাঁদে!


কবিতা আমার প্রাণ খুঁজে
   নগ্ন মিছিলের পাশে,
কতটা তোমরা বর্বর হও
   কৈফিয়ত নিত্য ত্রাসে!


কবিতা আমার ভাঙায় ঘুম
   কাটে বিনীদ্র রাত,
হিসেব কষি আঘাতের ঘায়ে
   কতটা রক্তপাত...


সূর্যের পাশে হীম আঁধার
   মনটা মরা লাশ,
বিচার কি রবে মায়েদের তরে
   তোমরাই রাহু খাস!


সমাজের দেহে ঘুন পোকা
   নিত্য চিবাও মজ্জা,
শুভ্র পোষাকে মানুষের মতো
   দেশের ঘৃন্য লজ্জা!


দুস্থ পীড়নের তেলে তোমার
   ঘরের ঝাড় জ্বলে,
কৃতজ্ঞতা ছেদন করো
   শিয়ালরূপী ছলে!


জানান দিলো মনিপুর  
   লজ্জা মায়ের নয়,
নর রাক্ষস সেই রাজাও
   সত্যেরে পায় ভয়।